কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে অলওয়েদার সড়ক ও আইসিটি লার্নিং সেন্টারসহ (আইএলসি) বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছেন সরকারের পাঁচটি মন্ত্রণালয়ের বর্তমান ও সাবেক পাঁচজন অতিরিক্ত সচিব, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

তারা হলেন- সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আবু ছাইদ শেখ, অতিরিক্ত সচিব মো. মহিউদ্দিন খান, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) জাবেদ আহমেদ, অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব সুধাংশু শেখর ও অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব নাজমুস সাকিব।

গত শনিবার বিকেলে তারা তমিজা খাতুন সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও হাজী তায়েব উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে দুটি আইসিটি লার্নিং সেন্টার (আইএলসি) পরিদর্শন করেন। এ সময় বিদ্যালয়ের প্রধানরা তাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। পরে তারা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হক সরকারি কলেজ পরিদর্শন শেষে রাষ্ট্রপতির স্বপ্নের ৩৫ কিলোমিটার অলওয়েদার সড়ক ও দৃষ্টিনন্দন সেতুগুলো পরিদর্শন করেন। অতিরিক্ত সচিবগণ এ এলাকাকে পর্যটন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করার সম্ভাব্যতা যাচাই করেন। হাওরের বুক চিরে অপরূপ এই অলওয়েদার সড়ক নির্মাণের জন্য সরকার ও রাষ্ট্রপতিকে তারা আন্তরিক অভিনন্দন জানান। রাষ্ট্রপতির উদ্যোগী ভূমিকা না থাকলে হাওরের বুকে এ সড়ক নির্মাণ আদৌ সম্ভব হতো না বলে তারা মন্তব্য করেন। পরে হেঁটে তারা উপজেলার বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন। রোববার হাওর এলাকা থেকে তারা ফিরে আসেন।

এ সময় রাষ্ট্রপতির সহোদর অধ্যক্ষ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হক নূরু, ইউএনও প্রভাংশু সোম মহান, প্রধান শিক্ষিকা আবেদা আক্তার জাহান, প্রধান শিক্ষক সুভাস চন্দ্র বৈষ্ণব, ওসি জাকির রব্বানী, শিক্ষক সমিতির সভাপতি শাহজাহান মিয়া, জেলা পরিষদের সদস্য সমীর কুমার বৈষ্ণব, সদর ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শরীফ কামাল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইব্রাহিম মিয়া, ভাইস প্রিন্সিপাল ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী, প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।