রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের পদ্মার তীরবর্তী দুর্গম চর কাওয়ালজানি এলাকা থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার সকালে পদ্মার চরে মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। 

যুবকের পরিচয় এখনও নিশ্চিত করা যায়নি। লাশটি এতটাই বিকৃত যে, তাকে কেউ চিনতে পারছে না।

এদিকে উপজেলার দৌলতদিয়া মডেল হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র মিরাজ খান (১৫) চার দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে। এ অবস্থার মধ্যে লাশ উদ্ধারে মিরাজের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। এ অবস্থায় পুলিশ লাশটির ডিএনএ টেস্ট করার কথা ভাবছে।

মিরাজের বাবা দেবগ্রাম ইউনিয়নের উত্তর চরপাচুরিয়া গ্রামের দরিদ্র কৃষক সিরাজ খান বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে মিরাজ বাড়িতে ভাত খাওয়া অবস্থায় ওর মোবাইলে একজনের ফোন আসে। তখন সে তাড়াতাড়ি খাওয়া শেষ করে বিশেষ কিছু না বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে। তারপর থেকে সে নিখোঁজ। ওর মোবাইল ফোনটিও বন্ধ। এ নিয়ে পরদিন গোয়ালন্দ ঘাট থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। তার পরও আমরা সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করেও ওর সন্ধান পাইনি। ওর সঙ্গে কারও কোনো দ্বন্দ্ব আছে বলে আমার জানা নেই। আমরা খুব চিন্তায় আছি। নদীর ধারে চরের ওপর পাওয়া লাশটি দেখতে আমার স্ত্রী হাসনা বেগম গিয়েছিল।
এদিকে, সোমবার সকাল ১১টার দিকে পদ্মার কয়েকজন জেলে নদীর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় এক স্থানে দুর্গন্ধ পেলে এবং সেখানে কাক ও শকুনের উপস্থিতি দেখে এগিয়ে যান। দেখতে পান বালুর মধ্যে উপুড় করে পুঁতে রাখা একটি লাশ। লাশটির পিঠের কিছু অংশ বেরিয়ে আছে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুলল্গাহ আল তায়াবী জানান, উদ্ধার হওয়া লাশটির ডান হাতের বগলের দিক থেকে অনেকটা মাংস বিচ্ছিন্ন এবং বাম হাতের কব্জি কাটা। এ ছাড়া পিঠের দিকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের কয়েকটি চিহ্ন রয়েছে। ফুলে ও পচে লাশটি বিকৃত হয়ে গেছে। যে কারণে কেউ তাকে শনাক্ত করতে পারেননি।