ঢাকার ধামরাইয়ে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শুক্রবার সকালে উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের যাদবপুর উত্তরপাড়া গ্রামে জুলেখা আক্তার শিখা (২০) নামে ওই গৃহবধূর শ্বশুর বাড়ি থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার মেহেদী হাসানকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও নিহতের স্বজনদের কাছ থেকে জানা গেছে, ধামরাইয়ের যাদবপুর গ্রামের আতাউর রহমান মাস্টারের ছেলে মেহেদী হাসান আড়াই বছর আগে পাশের আশুলিয়া থানার শিমুলিয়া ইউনিয়নের আশাপুর গ্রামের জসিম উদ্দিনের মেয়ে জুলেখা আক্তার শিখাকে পারিবারিক পছন্দে বিয়ে করেন। মেহেদী হাসান একটি টেক্রাটাইল কারখানায় চাকরি করেন। বিয়ে করার পর তাদের সংসার ভালোই চলছিল।

বৃহস্পতিবার রাতে খাবার খেয়ে স্বামী-স্ত্রী নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ২টার দিকে মেহেদী হাসান চিৎকার করলে পরিবারের অন্য সদস্যরা ঘরের ভেতর জুলেখা আক্তারের গলায় ওড়না পেঁচানো টেবিলের পাশে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। ওই সময় মেহেদী হাসান জানিয়েছেন, তার ঘুমের সময় জুলেখা আক্তার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে কি কারণে তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে তা তিনি জানেন না বলে জানিয়েছেন।

শুক্রবার সকালে খবর পেয়ে ধামরাই থানা পুলিশ ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের স্বামী মেহেদী হাসানকে আটক করেছে।

নিহত জুলেখা আক্তারের বাবা জসিম উদ্দিন বলেন, কিছুদিন ধরে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ চলে আসছিল। সেই কলহের জের ধরে মেহেদী হাসান আমার মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যার পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করছে। আমার মেয়ে হত্যার কঠোর বিচার চাই।

এ ব্যাপারে ধামরাই থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, গৃহবধূ মৃত্যুর ঘটনায় তার স্বামী মেহেদী হাসানকে আটক করা হয়েছে এবং থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।