ঝিনাইদহের শৈলকুপায় মাহমুদুল হাসান মামুন নামে এক ইউপি চেয়ারম্যানকে মারধর ও লাঞ্ছিতের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। মামুন উপজেলার ৬নং সারুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। 

এ ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে। গত সোমবার রাত ১২টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতর থেকে পুলিশ তাকে মারধর ও লাঞ্ছিত করে বলে ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়। 

অন্যদিকে ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর শৈলকুপা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সাখাওয়াত হোসেনকে ঝিনাইদহ জেলা পুলিশ লাইনে ক্লোজড করেছেন পুলিশ সুপার। এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন বলে জানান।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ৬নং সারুটিয়া ইউনিয়নে ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুন ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জুলফিকার কায়সার টিপুর মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত সোমবার রাতে পুরাতন বাখরবার গ্রামে উভয় পক্ষের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটে।

ইউপি চেয়ারম্যান মামুন জানান, গত সোমবার রাত ১২টার দিকে শৈলকুপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনি তার আহত সমর্থকদের দেখতে আসেন। এ সময় তার সঙ্গে আসা কয়েক সমর্থককে পুলিশ আটক করে গাড়িতে তোলে। ঘটনাটি তিনি জানতে চাইলে পুলিশের এসআই সাখাওয়াত তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন ও পুলিশের আরো কয়েক সদস্য তাকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করে গায়ের কাপড় ছিঁড়ে ফেলেন। এ ঘটনায় তিনি জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করবেন।

মামুন আরো অভিযোগ করেন, ওই রাতে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফোনে তার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।

ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাখাওয়াত নামের এক উপ পরিদর্শককে ঝিনাইদহ পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে এবং ঘটনাটির তদন্ত চলছে।

শৈলকুপা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় কেউ কোন লিখিত অভিযোগ না

দিলেও ইউপি চেয়ারম্যানকে লাঞ্ছিতের একটি ভিডিও তাদের নজরে আসলে এসআই সাখাওয়াত হোসেনকে পুলিশ

লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়াও ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।