পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে নাব্যতা সঙ্কট ও প্রায় দেড় কিলোমিটার ঘুরে ধীর গতিতে ফেরি চলাচল করায় পারাপারের সময় শুক্রবারও ঘাট এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘাটে গত এক সপ্তাহ ধরেই এমন যানজটে পড়ে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পরিবহন শ্রমিক-যাত্রীদের। 

এদিকে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে নদীতে নাব্যতা সঙ্কটের কারণে গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় পাটুরিয়া ঘাটে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীদের প্রতিদিনই ফেরি পারাপারের জন্য অপেক্ষায় থেকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এ নৌরুটে চলাচলরত ১৯টি ফেরি মধ্যে মতিউর রহমান, বনলতা ও শাহ আলী নামে ৩ ফেরি বিকল হয়ে মেরামতের জন্য মধুমতিতে পড়ে থাকায় ১৬টি দিয়ে যানবাহন পারপার করা হচ্ছে। 

ঢাকার গাবতলী থেকে ছেড়ে আসা ফরিদপুরগামী ঈগল পরিবহন বাসের চালক বাবর আলী জানান, শুক্রবার সকাল ৭টায় বাস ছেড়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিয়ে পাটুরিয়া ঘাটে আসেন। কিন্ত ঘাটে যানজটের কারণে দুপুর দুইটা পর্যন্ত অপেক্ষায় থেকেও ফেরিতে উঠতে পারেনি তিনি। 

ঢাকার সায়দাবাদ থেকে ছেড়ে আসা রাজবাড়ীগামী ট্রাক চালক সেলিম মোল্লা জানান, গত বুধবার সকাল ৮টার দিকে তিনি পটুরিয়া ঘাটে আসেন। কিন্ত তীব্র যানজটের কারনে শুক্রবার বেলা ৩টা পর্যন্ত অপেক্ষায় থেকেও ফেরির টিকিট পাননি। এ রকম শত শত বাস ও ট্রাক ফেরি পারাপারের জন্য ঘাটে অপেক্ষায় রয়েছে। 

আরিচা অফিসের বিআইডব্লিউটিসির নির্বাহী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম জানান, নৌরুটে চলাচলরত প্রায় সব ফেরি দীর্ঘদিনের পুরাতন। একারণে ফেরিগুলো বার বার বিকল হয়ে পড়ছে। 

আরিচা অফিসের বিআইডব্লিউটিসির ডিজিএম জিল্লুর রহমান জানান, নৌরুটে নাব্যতা সঙ্কটের কারণে ফেরিগুলো প্রায় দেড় কিলোমিটার ঘুরে ধীর গতিতে চলাচল করায় নদী পারাপারে সময় বেশি লাগছে। এ কারণে ফেরির টিপ সংখ্যা আনেক কমে গেছে। এছাড়া, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।