গ্রামের মানুষের চলাচলের সুবিধানের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রায় সাড়ে ৩২ লাখ টাকা ব্যায়ে সেতু নির্মিত হয়। কিন্তু সেই সেতু উদ্বোধনের আগেই কপাল পুড়ল এলাকাবাসীর। বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দেওয়ায় সেতুটি বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। ঘটনাটি ময়মনসিংহের গৌরীপুরের।

স্থানীয়রা জানায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কর্মসূচিতে উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের কোনাপাড়া ও বায়রাউড়া গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে চলা নয়া খালের ওপর সেতু নির্মাণের অনুমোদন হয়। প্রায় ৩২ লাখ ৪১ হাজার টাকা ব্যায়ে ৩৬ ফুট দৈর্ঘ্যর পাকা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হলে এলাকাবাসী আশায় বুক বাঁধেন। গ্রামের আনোয়ার পুলিশের বাড়ির উত্তর পাশে সেতুটির স্থান নির্ধারণ করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান শহীদ এন্টারপ্রাইজ গত জুন মাসে সেতুর নির্মাণ শুরুর পর আগস্ট মাসে কাজ সম্পন্ন করেন। কিন্তু ইতোমধ্যে সেতুটির মূল স্প্যান ও কনক্রিটের অন্যান্য প্রাচীরও ফেটে চৌচির হয়ে গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নয়া খালের ওপর নির্মিত সেতুটি স্প্যান ফেটে দুই ভাগ হয়ে রড বেরিয়ে এসেছে। মাটি সরে যাওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে সেতুর এপ্রোচ পিলার। খালের দক্ষিণ পাড়ে সেতুর অংশ একটু দেবে গেছে। এপ্রোচ পিলার ও সেতু দেয়ালের রড বেরিয়ে এসেছে। কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা ও সর্তকর্তা বাণী কিংবা লাল নিশান না থাকায় দুই পাড়ের মানুষ হেঁটে সেতু পার হচ্ছে। এতে যেকোন মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, খালের ওপর সেতু নির্মাণ হওয়ায় দুই পাড়ের গ্রামবাসী অনেক আনন্দিত হয়েছিল। কিন্তু সেতু নির্মাণ কাজে নিম্ম মানের সামগ্রী ব্যবহার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবে উদ্বোধনের আগেই সেতুটি ধসে পড়ার উপক্রম হয়েছে। এতে করে এলাকাবাসীর আনন্দ ম্লান হয়ে গেছে।

গৌরীপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহেল রানা পাপ্পু বলেন, সেতু এলাকাটিতে পানির ঘূর্ণায়ন ও স্রোত থাকায় সেতুটির ওই অবস্থা হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এমন অবস্থা হওয়ায় ইতোমধ্যে সেতুটি বাতিল করা হয়েছে। ঠিকাদারকে কোনো প্রকার বিলও দেওয়া হয়নি। ওই এলাকা থেকে কিছু দূরে ওই বরাদ্দ দিয়েই নতুন আরেকটি সেতু করে দেওয়া হবে। ঠিকাদার তাতে সম্মতও হয়েছে।