- সারাদেশ
- কুড়িগ্রামে ধরলার পানি বিপদসীমার উপরে
কুড়িগ্রামে ধরলার পানি বিপদসীমার উপরে

উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে কুড়িগ্রামের নদ-নদীগুলোতে আবারও পানি বাড়তে শুরু করেছে। এর মধ্যে ধরলা নদীতে পানি বাড়ছে অস্বাভাবিক হারে।
বুধবার সকালে ধরলা নদীর কুড়িগ্রাম ফেরীঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে নদীর অববাহিকার সদর, ফুলবাড়ী ও রাজারহাট উপজেলার শিমুলবাড়ী, বড়ভিটা, ভাঙ্গামোড়, ছিনাই, কাঁঠালবাড়ী, হোলোখানা, ভোগডাঙ্গা, পাঁচগাছি, বেগমগঞ্জ ও মোগলবাসা ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘন্টায় অর্থাৎ মঙ্গলবার সকাল ৬ টা থেকে বুধবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত ধরলার কুড়িগ্রাম ফেরীঘাট পয়েন্টে ৩৮ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়া তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার এবং ব্রহ্মপুত্রের চিলমারী পয়েন্টে ২৩ সেন্টিমিটার ও নুনখাওয়া পয়েন্টে ৩০ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। তবে এই দুই নদীর পানি বাড়লেও বিপদসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে পানি বাড়ার সাথে সাথে সদর উপজলার হোলোখানা ইউনিয়নের সারডোব, ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের জগমোহনের চর এবং মোগলবাসা ইউনিয়নের সন্ন্যাসী এলাকায় ধরলা নদীর ভাঙন শুরু হয়েছে। এর মধ্যে জগমোহনের চর এলাকায় ভাঙনের ভয়াবহতা বেশি।
ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান জানান, ভাঙনে জগমোহনের চর এলাকায় ভিটেমাটি, আবাদি জমি ও গাছপালা বিলীন হয়ে যাচ্ছে। গত দু'দিনে এখানে ৩৪টি পরিবার ভিটে মাটি হারিয়ে গৃহহীন হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, নদ-নদীগুলোতে আরও দু'তিন দিন পানি বাড়া অব্যাহত থাকতে পারে। তারপরও বড় ধরণের বন্যা হওয়ার আশংকা নেই।
তিনি আরও জানান, ভাঙন কবলিত এলাকাগুলোতে জরুরি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন