করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘ ১৮১ দিন বন্ধের পর বুধবার দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে বিশ্বঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদ। প্রথম দিনে দর্শনার্থীর ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। 

এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে দর্শনার্থীরা আসতে শুরু করেন ষাটগম্বুজ মসজিদে। তবে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয় নিশ্চিত করতে সচেষ্ট ছিল প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ। ফলে একসঙ্গে অনেক দর্শনার্থীকে দেখা যায়নি ষাটগম্বুজ এলাকায়। দীর্ঘদিন পর ষাটগম্বুজে প্রবেশ করতে পেরে উচ্ছ্বসিত ছিলেন দর্শনার্থীরা।

বুধবার সকাল ১০টায় প্রধান ফটকের মধ্যে টিকিট কাউন্টার খোলা হয়। টিকিট কেটে বিভিন্ন জেলার দর্শনার্থীরা ভেতরে প্রবেশ করেন। শিশুরা মেতে ওঠে বিভিন্ন রাইড নিয়ে। প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকেই ডান পাশে অবস্থিত বাগেরহাট জাদুঘরে বিভিন্ন প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন দেখেন দর্শনার্থীরা। তারপর ষাটগম্বুজ মসজিদের ভেতর ও বাইরের নয়নাভিরাম টেরাকোটা উপভোগ করেন তারা। মসজিদ চত্বরে ফোটা নানা রঙের ফুল দর্শনার্থীদের আরও বিমোহিত করে। দীর্ঘদিন পর যেন নতুন রূপে ষাটগম্বুজ মসজিদ দেখছেন দর্শনার্থীরা। তাদের মধ্যে বেশ উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে।

দর্শনার্থী কয়েকজন বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে ষাটগম্বুজ মসজিদ বন্ধ ছিল। বুধবার সকালে খুলে দেওয়ায় তারা এখানে এসেছেন। ভেতরে ঢোকার আগে তারা গেটের সামনে রাখা পানি ও সাবান দিয়ে হাত ধুয়েছেন। মাস্ক ছাড়া কাউকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর বাগেরহাটের কাস্টোডিয়ান গোলাম ফেরদাউস বলেন, 'করোনাভাইরাসের কারণে ১৯ মার্চ থেকে বন্ধ ছিল ষাটগম্বুজ মসজিদ। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আজকে (বুধবার) আমরা ষাটগম্বুজ মসজিদ উন্মুক্ত করে দিয়েছি। প্রথম দিনেই অনেক দর্শনার্থী প্রবেশ করেছেন। কয়েক দিনের মধ্যেই দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়বে। আশা করব, দর্শনার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ষাটগম্বুজ চত্বরে প্রবেশ করবেন।'