দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশের দাবির মূল আসামি রবিউল ইসলামকে আবারও ৩ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিনাজপুর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজেস্ট্রেট আদালতের ঘোড়াঘাট আমলী আদালত-৭ এর বিচারক আনজুমান আরা এই আদেশ দেন। এর আগে আদালতে হাজির করে তাকে তার ৭ দিনের রিমান্ড চায় ডিবি পুলিশ। আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রবিউলকে ছয় দিনের রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ঘোড়াঘাট আমলী আদালত -৭ এ তোলা হয়। দীর্ঘ সময় শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে তাকে আদালত থেকে বের করা হয়। এ সময় পুলিশ জানায় আসামি রবিউলকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ দিনের রিমান্ডে পেয়েছেন তারা। আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির আবেদন করা হয়নি বলেও জানান তিনি। 

এ দিকে পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রবিউল এ ঘটনার একমাত্র পরিকল্পনাকারী এবং হামলাকারী সে নিজেই বলে জানিয়েছে। আক্রোশ থেকেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে সে। তার দেয়া তথ্যমতে হামলায় ব্যবহৃত হাতুড়ি, লাঠি, মই, চাবি সহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করেছে পুলিশ। একসাথে তার পরনের প্যান্ট, হাতের ছাপ সহ মোবাইলের লোকেশন বিষয়গুলো আলামত হিসেবে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এসব আলামত বিচার কাজে সহায়ক হবে।

গত ৯ সেপ্টেম্বর প্রযুক্তির মাধ্যমে রবিউলকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজের দোষ স্বীকার করেন। গত ১২ তারিখে এ বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য। তিনি জানিয়েছিলেন, রবিউল দায় স্বীকার করে জানিয়েছে এ ঘটনায় প্রধান পরিকল্পনাকারী এবং একমাত্র হামলাকারী নিজে। পরে তাকে ওই দিনেই আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ। আদালতের বিচারক তাকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওই দিন থেকেই রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ।