উজানের ঢল ও ভারি বর্ষণে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে রংপুরের তিনটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে সহস্রাধিক পরিবার। বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাটই খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

তিস্তার পানি বৃদ্ধিতে গঙ্গাচড়া উপজেলার নোহালী, চর নোহালী, চর বাগডোহরা ও নোহালী সাপমারী, কোলকোন্দ ইউনিয়নের চিলাখাল, উত্তর চিলাখাল, মটুকপুর, বিনবিনা মাঝেরচর, গঙ্গাচড়া সদর ইউনিয়নের ধামুর ও গান্নারপাড়, লহ্মীটারী ইউনিয়নের শংকরদহ, পূর্ব ইচলী, জয়রামওঝা, ইশোরকোল, গজঘণ্টা ইউনিয়নের ছালাপাক, গাউছিয়া, জয়দেব, রমাকান্ত, মর্নেয়া ইউনিয়নের আলালচর, তালপট্টিচর, হাজির পাড়া ও মর্নেয়াচর তলিয়ে গেছে। এসব এলাকায় সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া কাউনিয়া উপজেলার টেপামধুপুর, কাউনিয়া সদর, পীরগাছার ছালাপাক ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

কোলকোন্দ ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব আলী রাজু জানান, তিনি ভোরে পানিবন্দি এলাকা পরিদর্শন করে ত্রাণ সহায়তার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর তালিকা তৈরি করেছেন। 

লহ্মীটারী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী জানান, তিনি রাত থেকে শংকরদহ ও বাগেরহাট এলাকার লোকজনকে নিয়ে ভাঙন রোধে কাজ করছেন। পানির তোড়ে তার এলাকায় ৯০টি পরিবারের ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে।

রংপুর পাউবোর পানি পরিমাপক কর্মকর্তা আমিনুর রহমান জানান, বৃষ্টিপাত ও উজানের পানি আসা অব্যাহত থাকলে পানি আরও বাড়বে।