- সারাদেশ
- শৈলকুপায় নিখোঁজের ৫ দিন পর যুবকের লাশ উদ্ধার, আটক ৩
শৈলকুপায় নিখোঁজের ৫ দিন পর যুবকের লাশ উদ্ধার, আটক ৩

সুজনের স্বজনদের আহাজারি - সমকার
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় সুজন (২০) নামের এক যুবক নিখোঁজ হওয়ার পাঁচ দিন পর তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার পৌর এলাকার হাজামপাড়া গ্রামের একটি সেচপাম্পের ঘরের পাশে মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়।
সুজন উপজেলার আউশিয়া গ্রামের মালেয়েশিয়া প্রবাসী জিল্লুর রহমানের ছেলে। তাকে কুপিয়ে হত্যার পর মরদেহ মাটিচাপা দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তার পরিবার জানায়, গত রোববার বিকেলে পাওনা টাকা আনতে গিয়ে সুজন আর বাড়ি ফেরেনি। এ ঘটনায় পুলিশ হাজামপাড়া গ্রামের সাকিব, নাজমুল ও হৃদয় নামের তিন যুবককে আটক করেছে।
সুজনের চাচা রফিকুল ইসলাম রবি জানান, গত রোববার বিকেলে সুজন সার আনতে আউশিয়া বাজারে যায়। সেখানে একটি চায়ের দোকানে চা পান করার সময় পাওনা টাকা চেয়ে হাজামপাড়া গ্রামের বাবলুর ছেলে রাকিবকে মোবাইলে কল করে। রাকিব সে সময় সুজনকে তার ছোট ভাই সাকিবের মোটরসাইকেলে করে তার কাছে যেতে বললে সুজন সাকিবের মোটরসাইকেলে করে চলে যায়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। পরে তারা থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ হাজামপাড়া থেকে সাকিব ও নাজমুল নামের দুই যুবককে আটক করে। এরপর হৃদয় নামে আরও একজনকে আটক করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক পুলিশ বৃহস্পতিবার হাজামপাড়া মাঠের বাবলুর সেচ পাম্পের ঘরের মাটির নিচ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
সুজনের ভগ্নিপতি কুষ্টিয়ার ধরমপাড়া গ্রামের মেরাজ উদ্দীন জানান, '৫ দিন ধরে আমরা সুজনকে খুঁজেছি। কোথাও পাচ্ছিলাম না। পরে বৃহস্পতিবার রাতে হাজামপাড়া মাঠ থেকে মাটিচাপা অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।'
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, পৌর এলাকার আউশিয়া গ্রামের সুজন নামে এক যুবক কয়েকদিন আগে নিখোঁজ হয়। সে মালেয়েশিয়া প্রবাসী জিল্লুর রহমানে ছেলে। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি জিডি করা হলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার হাজামপাড়া থেকে জড়িত সন্দেহে তিন জনকে আটক করা হয়। এর মধ্য থেকে এক কিশোরের স্বীকারোক্তি মোতাবেক হাজামপাড়া মাঠের একটি সেচ পাম্পের ঘরের পাশ থেকে মাটিচাপা অবস্থায় সুরজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে অধিকতর তদন্তের পরই এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
মন্তব্য করুন