নাটোরের লালপুরে মোবাইল ফোনে 'ফ্রি ফায়ার' গেমস খেলতে রেললাইনে বসে ছিলেন এক তরুণ। ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ গেছে তার।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বাওড়া-বৃষ্টপুর সংযোগে ঈশ্বরদীগামী মালগাড়ি ট্রেনে কাটা পড়ে তিনি মারা যান।

নিহত ফারুক হোসেনের (১৮) এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল। তিনি উপজেলার বাওড়া গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে এবং গোপালপুর পৌর টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের ছাত্র ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার গোপালপুর রেলগেটের রাস্তার ওপর মাথাবিহীন টুকরো টুকরো একটি লাশ পাওয়া যায়। পরে ঈশ্বরদী রেলওয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে এবং লাশটি থেকে এক কিলোমিটার দূরে তার মাথা ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে লাশটি শনাক্ত করা হয়।

নিহতের বাবা বাচ্চু মিয়া জানান, বাড়ির পাশে রেললাইন হওয়ায় লাইনের ওপর বসে ফারুক ও তার তিন বন্ধু ফ্রি ফায়ার খেলছিলো। পরে রাত হওয়ায় বন্ধুরা চলে গেলেও ফারুকের বাড়ি সেখানে হওয়ায় স্থানটিতে বসে গেমস খেলছিলো। রাতে ঈশ্বরদী রেলওয়ে পুলিশের মাধ্যমে তার ছেলের মৃত্যুর খবর জানতে পারেন তিনি।

লালপুর থানার ওসি সেলিম রেজা ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, যেহেতু ট্রেনে কাটা তাই এ বিষয়ে ঈশ্বরদী রেলওয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।

ঈশ্বরদী জিআরপি থানার এসআই রঞ্জন বিশ্বাস জানান, খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে গোপালপুর রেলগেট থেকে ট্রেনে কাটা পড়া একটি মরদেহের খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।