ত্রিশালে দুর্ঘটনায় নিহত ৬
৪ বছর আগে অনুমতি হারায়, তবুও সড়কে চলছিল বাসটি

ত্রিশালে দুর্ঘটনাকবলিত ফিটনেসবিহীন বাস- সমকাল
নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ ও ত্রিশাল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৩ | ০৮:২৮ | আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২৩ | ০৮:২৮
ময়মনসিংহের ত্রিশালে গার্মেন্ট কর্মীদের বহনকারী বাসটি সড়কের চলাচলের অনুমতি হারিয়েছে চার বছর আগে। তবুও ফিটনিসবিহীন বাসটি সড়কে নিয়মিত দিব্বি চলাচল করছিল। বাসটিকে পেছন থেকে অন্য একটি বাস ধাক্কা দিলে নিহত হয় ছয়জন। এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচলে দেখভালের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষ বিআরটিএর উদাসীনতাকে দায়ী করছেন।
রাব্বি-সেতু নামে ঢাকা মেট্রো-জ-১৪-১০০৪ নামের বাসটি প্রতিদিন গার্মেন্ট কর্মীদের বহন করতো। বাসটির মালিক টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার মুসিন্দা গ্রামের মো. আবু হানিফ শিকদার। বাসটি সড়কে চলাচলের অনুমতি হারিয়েছে ২০১৯ সালের ১ জুন। ফিটনেস হারিয়েছে ২০২০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি।
ফিটনেসবিহীন এ বাসটিকে ধাক্কা দেওয়া শেরপুর থেকে ঢাকাগামী এস এস ট্রাভেলসের ঢাকা মেট্রো ব-১১-০৫২৩ নম্বরের গাড়িটির বেপরোয়া গতির কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
ফিটনেস বিহনীর গাড়িটির মালিকানা এখনও মো. আবু হানিফ শিকদারের নামে। তিনি সমকালকে বলেন, অন্তত চার বছর আগে বাসটি ঢাকার একজনের কাছে বিক্রি করে দিয়েছি। ফিনটেনস না থাকয় বিক্রি করা হয়েছিল। বাসটি সড়কে চলাচল করে ৬ জনের মৃত্যুতে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
বিআরটিএ ময়মনসিংহের সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি:) এ.এস.এম ওয়াজেদ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমরা বিষয়টি নিয়ে ঘটনাস্থলে কাজ করছি। দুর্ঘটনার কারণ নিশ্চিত হতে কাজ চলছে। গাড়ির রোড পার্মিট বা অন্যান্য কাগজপত্র ছিলো কি না যাচাই করা হয়নি। ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হয়। আইনের ব্যত্বয় ঘটিয়ে তবুও সড়কে চললে সেগুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিহতদের পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ট্রাস্টিবোর্ড থেকে প্রত্যেক পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশালের চেলেরঘাট এলাকায় বুধবার সকাল ৮টার দিকে গার্মেন্ট কর্মীদের বহন করা বাসটির চাকা পাংচার হয়ে গেলে গাড়ি থামিয়ে চাকা বদলানোর প্রস্তুতি চলছিল। তখন কয়েকজন বাসের সামনে দাঁড়িয়ে সেই দৃশ্য দেখছিলেন। কেউ কেউ বাসের ভেতরেই বসা ছিলেন। তখন পেছন থেকে আরেকটি বাস ধাক্কা দিলে দুর্ঘটনাটি ঘটে। এতে ৬ জনের মৃত্যু হয়।