যশোরের মনিরামপুরে আবু দাউদ নামে এক কবিরাজের বিরুদ্ধে ভিক্ষুকের দুই মেয়েকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ঝাড়ফুঁকের নামে আবু দাউদ কবিরাজ তাদের ধর্ষণের চেষ্টা চালান। 

পুলিশ খবর পেয়ে শনিবার গভীর রাতে দুই মেয়েকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় রোববার কবিরাজের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তবে পুলিশ কবিরাজ আবু দাউদকে আটক করতে পারেনি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জিয়াউল হক জানান, যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া ইউনিয়নের ঘুনি গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে আবু দাউদ প্রায় ৩০ বছর আগে ইত্যা গ্রামের আবদুল আজিজের মেয়েকে বিয়ে করে ঘরজামাই থাকেন। আবু দাউদ দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় কবিরাজী এবং ঝাড়ফুঁক দিয়ে আসছিলেন। শনিবার সকাল ১১টার দিকে দাউদ কবিরাজ ইত্যা ঋষিপল্লির এক ভিক্ষুক দম্পতির বাড়িতে যান তার স্বামী পরিত্যক্তা মেয়েকে(১৭)  ঝাড়ফুঁক দিতে। এ সময় বাবা-মা বাড়িতে ছিলেন না। আবু দাউদ বাড়িতে গিয়ে ভিক্ষুক দম্পতির আরেক মেয়ের (১৩) হাতে ১০ টাকা দিয়ে পাশের দোকান থেকে খাবার কিনতে আনতে বলেন। 

নির্যাতিত বড় বোন জানায়, ঝাড়ফুঁক দেওয়ার নামে কবিরাজ তার হাত-পা এবং মুখ বেঁধে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এরই মধ্যে দোকান থেকে খাবার কিনে বাড়িতে এসে এ দৃশ্য দেখে প্রতিবাদ করে ছোট বোন। তখন কবিরাজ তারও হাত-পা বেঁধে ধর্ষণে চেষ্টা চালায়। এ সময় তারা দু’বোন চিৎকার করলে কবিরাজ পালিয়ে যায়।

স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার নিখিল দাস জানান, শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে ভিক্ষুক দপ্ততি দুই মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে তার বাড়িতে এসে অভিযোগ করেছেন। তখন বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান জিএম আহাদ আলীকে জানানো হয়। 

আহাদ আলী জানান, মেম্বারের কাছ থেকে ঘটনা শোনার পর গ্রাম পুলিশ পাঠানো হয় দাউদ কবিরাজকে আটকের জন্য। কিন্তু পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। ফলে ওই রাতেই বিষয়টি থানার ওসিকে ফোনে জানানো হয়। 

মনিরামপুর থানার ওসি (সার্বিক) রফিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে রাত তিনটার দিকে ঋষিপল্লিতে গিয়ে ওই দুই মেয়েকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে।

সহকারী পুলিশ সুপার (মনিরামপুর সার্কেল) সোয়েব আহমেদ খান জানান, ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় মেয়ে দু’টির মা বাদী হয়ে আবু দাউদ কবিরাজের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। পুলিশ দাউদ কবিরাজকে আটকের জন্য এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে।  উদ্ধার করা দুই মেয়েকে আদালতে পাঠানো হয়েছে জবানবন্দি দেওয়ার জন্য।