পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের সদস্য সচিব ও সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতা এসএ রশিদ, বাসদ খুলনার সমন্বয়ক জনার্দন দত্ত নান্টুসহ ১৪ জনের নামে মামলা করেছে পুলিশ। আটরা শিল্প এলাকায় পাটকল শ্রমিক ও পুলিশের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনায় গত সোমবার রাতে নগরীর খানজাহান আলী থানার এসআই মেহেদী হাসান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। 

মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে মামলার তথ্য প্রকাশ করে পুলিশ।

মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় ও পরে আটক ১৩ জনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- যশোরের জেজেআই জুট মিলের সাবেক সিবিএ সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন খান, গণসংহতি আন্দোলনের ফুলতলা উপজেলা শাখার আহ্বায়ক অলিয়ার রহমান, মহানগর সিপিবির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবু, পাটকল শ্রমিক রবিউল ইসলাম, শেখ রবিউল ইসলাম ওরফে রবি, শামসের আলম, ছাত্র ফেডারেশনের খুলনা মহানগরের আহ্বায়ক আল আমিন শেখ, শ্রমিক নওশের আলী, ফারুক হোসেন, জাহাঙ্গীর সরদার, শহিদুল ইসলাম ও আবুল হোসেন। এর মধ্যে মোজাম্মেল হোসেন খান পলাতক।

খানজাহান আলী থানার ওসি প্রবীর কুমার বিশ্বাস জানান, জনগণের জানমালের ক্ষতি, গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে। এর মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট কুদরত-ই-খুদা বলেন, বিকেল ৪টার দিকে নেতাকর্মী ও শ্রমিকদের আদালতে তোলা হয়। জামিন আবেদন করা হলেও আদালত এখনও কোনো আদেশ দেননি।

সোমবার সকাল ১১টায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী খুলনা আটরা শিল্প এলাকায় খুলনা-যশোর মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি শুরু করে পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদ নামের একটি সংগঠন। ওই কর্মসূচিতে খুলনার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও পাটকলের শ্রমিকরা যোগ দেন। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ার গ্যাসের শেল ছুড়ে তা পণ্ড করে দেয়। এ সময় নারীসহ ২০ জনের মতো শ্রমিক আহত হন বলে দাবি করেন সংগঠনটির নেতারা। অন্যদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে ৯ সদস্য আহত হওয়ার দাবি করা হয়। ওই সংঘর্ষের সময় দুটি বাস ও একটি প্রাইভেটকার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।