কুড়িগ্রামে ধর্মান্তরিত মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলী হত্যা মামলার দুইজন আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডকারী দুই ম্যাজিস্ট্রেটের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল মান্নানের এজলাসে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। 

সাক্ষ্য প্রদানকারী দু'জন হলেন- আসামি হাসান ফিরোজের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডকারী তৎকালীন অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত কর্মকর্তা মো. মাকসুদুর রহমান এবং আসামি গোলাম রব্বানীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডকারী তৎকালীন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও বর্তমানে লালমনিরহাটের যুগ্ম-জেলা জজ মো. মাঈনুদ্দিন। এই নিয়ে এ মামলায় ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হলো। মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ২২ নভেম্বর পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে।

এদিকে সাক্ষ্য গ্রহণের সময় এই মামলার ৭ আসামির মধ্যে জেলহাজতে থাকা গোলাম রব্বানী ও হাসান ফিরোজ-এই দু'জনকে আদালতে হাজির করা হয়। এ ছাড়া জামিনে থাকা আসামি মাহবুব আলম মিলন ও আবু নাছির আদালতে হাজির ছিলেন। তবে মামলার প্রধান আসামি রাজীব গান্ধী অন্য মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত হওয়ায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি। আর রিয়াজুল ইসলাম নামের একজন আসামি পলাতক রয়েছেন।

পাশাপাশি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ায় সাদ্দাম হোসেন নামে অপর এক আসামিকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

সাক্ষ্যগ্রহণকালে রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর এসএম আব্রাহাম লিংকন এবং জামিনে থাকা আসামিদের পক্ষে আইনজীবী মিজানুর রহমান ও অন্য আসামিদের পক্ষে সরকার নিয়োজিত আইনজীবী হুমায়ুন কবীর আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২২ মার্চ সকাল ৭টার দিকে কুড়িগ্রাম জেলা শহরের গড়েরপাড় এলাকায় প্রাতঃভ্রমণের সময় খ্রীষ্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলীকে কুপিয়ে হত্যা করেছিল জঙ্গিরা। ঘটনার দিন এই হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। বিগত ২০১৬ সালের ৫ নভেম্বর মামলাটির অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এরপর ২০১৮ সালের ২১ অক্টোবর আদালতে মামলাটির অভিযোগ গঠন করা হয়।