পাবনার ঈশ্বরদী থেকে পালিয়ে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় গিয়ে বিয়ে করার দুই মাসের মাথায় লাশ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন সাহিদা খাতুন নামের এক নববধূ।

মঙ্গলবার বিকেলে ভেড়ামারার কুচিয়ামোড়া থেকে লাশটি ফেরত আসে ঈশ্বরদীর পিয়ারপুরগ্রামে তার বাবার বাড়িতে। এসময় শোকে কাতর হয়ে পড়েন তার বাড়ির লোকজনসহ স্থানীয়রা।

নিহত সাহিদার পারিবারিক সূত্র জানায়, ঈশ্বরদী পৌর এলাকার পিয়ারপুর বিলপাড়ায় মৃত আকাইল হোসেনের মেয়ে সাহিদা খাতুন (১৯) মাস দুয়েক আগে ভেড়ামারার কুচিমোড়া গ্রামের সোহেল (২৬) নামের এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে বাবা-মায়ের অসম্মতিতে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন।

পালিয়ে বিয়ে করায় সাহিদার পরিবারের সঙ্গে তার আর কোন যোগাযোগ ছিল না। মঙ্গলবার দুপুরে হঠাৎ খবর আসে সাহিদা তার শ্বশুর বাড়িতে মারা গেছে। খবর পেয়ে বাড়ির লোকজন তার লাশ নিয়ে ঈশ্বরদীর পিয়ারপুরে নিয়ে আসে।

স্থানীয়রা জানান, শ্বশুর বাড়ির লোকজন সাহিদা আত্মহত্যা করে মারা গেছে বললেও তার সমস্ত শরীরে আঘাতের স্পষ্ট চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে তার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন পিটিয়ে হত্যা করে আত্নহত্যা বলে প্রচার করছে।

সাহিদার বাবার বাড়ির লোকজন তার শ্বশুর বাড়ি গিয়ে রান্নাঘর থেকে সাহিদার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। এরপর কুষ্টিয়া নিয়ে গিয়ে লাশের ময়না তদন্তের পর লাশ দাফন করেছে।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ নাসীর উদ্দিন বলেন, লোকমুখে ঘটনাটি শুনেছি। এখনো নিহতের পরিবারের থেকে কেউ লিখিত কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।