এক ঘণ্টার প্রতীকী জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারের (এসপি) দায়িত্ব পালনকালে বাল্যবিয়ের হার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে চাইল দুই কন্যাশিশু। বুধবার বগুড়ার ডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে ন্যাশনাল চিলড্রেনস টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) বগুড়ার সভাপতি শিশু পুষ্পা খাতুন। একই দিন এক ঘণ্টার জন্য ভোলার পুলিশ সুপারের দায়িত্ব পালন করে ভোলা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী তাসনিম আজিজ রিমি।

সকালে বগুড়া জেলা প্রশাসক জিয়াউল হকের কাছ থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করে জেলার শিশুদের প্রতিনিধি পুষ্পা খাতুন। দায়িত্ব পালনকালে শিশু পুষ্পা খাতুন বগুড়াকে শিশুবান্ধব জেলা হিসেবে গড়ে তোলা, বাল্যবিয়ের হার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা, শিশুর প্রতি সব ধরনের সহিংসতা বন্ধ করে তাদের নেতৃত্ব বিকাশে জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সুপারিশমালা প্রদান করে।

জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক বলেন, গার্লস টেকওভার কর্মসূচির মাধ্যমে কন্যাশিশুরা উৎসাহিত হবে এবং নিজেদের স্বপ্নপূরণেও অঙ্গীকারবদ্ধ হবে।

অন্যদিকে নারী নির্যাতন, কন্যাশিশুবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি, নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ, যৌন হয়রানি, কিশোর গ্যাং, বাল্যবিয়ে রোধ ও সাইবার ক্রাইম নিয়ন্ত্রণ সামাজিক অপরাধ রোধে সুপারিশমালা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করে ভোলার 'প্রতীকী' পুলিশ সুপার রিমি। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মো. কায়সার প্রতীকী দায়িত্ব তুলে দেন রিমির কাছে।

কন্যাশিশুদের আত্মবিশ্বাস তৈরিতে ইয়েস- বাংলাদেশ, ইয়ুথ ফর চেঞ্জ, আইন ও সালিশ কেন্দ্র এবং প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের বৈশ্বিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এনসিটিএফের সহযোগিতায় সারাদেশে গার্লস টেকওভার কর্মসূচির আওতায় এ দুই শিশু প্রতীকী ডিসি ও এসপির দায়িত্ব পালন করে।