ঢাকার ধামরাইয়ের বাইশাকান্দা ইউনিয়নের কাছৈর গ্রামের কৃষক শুকুর আলী হত্যায় গ্রেপ্তার চারজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। গত মঙ্গল ও বুধবার দেওয়া জবানবন্দিতে খুনিরা জানিয়েছে, কুপিয়ে হত্যার পর বিলের মাঝখানে লাশ ভাসিয়ে দেয় তারা। এরপর খুনিরা শুকুর আলীর ছেলের সঙ্গেই তাকে খোঁজাখুঁজি করে বেড়ায়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আবুল খায়ের মিয়া জানান, কৃষক শুকুর আলীর সঙ্গে আসামি জাকারিয়া হোসেন জাকিরদের বাড়িসংলগ্ন ১৬ শতাংশ জমি কেনা নিয়ে বিরোধ এবং পুকুরের পাশে জাল দিয়ে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে তারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এ ছাড়া শুকুর আলীর স্ত্রীর কাছে গ্রামের হারুন মিয়ার ছেলে শাহিন (চিটার শাহিন হিসেবে পরিচিত) ৩৫ হাজার টাকা সুদে নিয়েছিল। এ টাকা চাওয়ায় কিছুদিন আগে শুকুর আলীর স্ত্রীকে মারধর করেছিল শাহিন। পরে সালিশে শাহিনকে ক্ষমা চাইতে হয়। এসব ঘটনায় তারা ক্ষিপ্ত ছিল শুকুর আলীর পরিবারের ওপর। এ কারণে শুকুর আলীকে হত্যার পরিকল্পনা করে জাকির ও শাহিন।

এসআই আবুল খায়ের আরও জানান, হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় চকপাড়ার মীর হোসেনের ছেলে ফিরোজ, আফজাল হোসেনের ছেলে শাহিনুর ও তমেজ উদ্দিনের ছেলে মনোয়ার হোসেন। গত শনিবার রাত ৯টার দিকে শুকুর আলী বাড়ির পাশে মাছ ধরতে যায়। এ সময় জাকির ও শাহিন পরিকল্পিতভাবে শুকুর আলীর মাথায় ও মুখে কুপিয়ে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত হলে লাশ প্রায় তিনশ' গজ দূরে পানিতে ভাসিয়ে নিয়ে যায় তাদের সহযোগী ফিরোজ ও মনোয়ার। পরে মনোয়ার মোবাইল করে শুকুর আলীর ছেলে মোকলেছুর রহমানকে জানায় তার বাবার গামছা ও জুতা রাস্তায় পড়ে আছে। এরপর মোকলেছের সঙ্গে খুনি জাকির, ফিরোজ, মনোয়ার ও শাহিন মিলে খুঁজতে থাকে শুকুর আলীকে। পরের দিন তার লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে জাকির, শাহিন, ফিরোজ ও মনোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়।