ঢাকা শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩

মেহগনি বাগানে মিলল কলেজছাত্রের ক্ষতবিক্ষত লাশ

মেহগনি বাগানে মিলল কলেজছাত্রের ক্ষতবিক্ষত লাশ

প্রতীকী ছবি

ফরিদপুর অফিস

প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৩ | ১৮:০৭ | আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২৩ | ১৮:০৭

ফরিদপুরে আছাদুজ্জামান নূর তুরাগ (২০) নামের এক কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মেহগনি বাগান থেকে তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত আছাদুজ্জামান নূর তুরাগ শহরের মধ্য আলীপুর এলাকার আলাউদ্দিন হাওলাদারের ছেলে। তিনি সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের বোটানি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তুরাগ সবার ছোট।

স্থানীয়রা জানায়, বুধবার সন্ধ্যায় অম্বিকাপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর এলাকার একটি মেহগনি বাগানে একটি ক্ষতবিক্ষত মরদেহ পরে থাকতে দেখে ইউপি চেয়ারম্যানকে খবর দেয় স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে এসে তিনি পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

তুরাগের ভাই ব্যাংক কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, আমি সকালে ব্যাংকে চলে আসি। তুরাগ দুপুরের পর বাসা থেকে বের হয়েছে। এরপর আমি তুরাগের মোবাইলে যোগাযোগ করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর সবাই তুরাগকে খুঁজতে থাকি। একপর্যায়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে খবর পাই অম্বিকাপুরের গোবিন্দপুরে একটি মেহগনি বাগানে মরদেহ পরে রয়েছে। খবর পেয়ে এখানে গিয়ে দেখি আমার ভাইয়ের মরদেহ।

তিনি অভিযোগ করেন, আমার ভাইকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মাত্র সাত মাস আগে তুরাগ বিয়ে করে।

অম্বিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলম জানান, সন্ধ্যার একটু আগে স্থানীয় ইউপি সদস্য আমাকে ফোনে জানায় একটি মরদেহ পরে রয়েছে মেহগনি বাগানে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ পরে থাকতে দেখে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে।

এদিকে খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সালাউদ্দিন, শৈলেন চাকমা ও কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএ জলিলসহ সিআইডির ক্রাইমসিন ও পিবিআইর কর্মকর্তারা।

ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বলেন, মরদেহের বাম হাত শরীর থেকে বিছিন্ন, ডান হাতে কোপের দাগ, দুই হাঁটুতে কোপের আঘাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে। নির্মমভাবে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।

ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান বলেন, এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ ইতোমধ্যেই অভিযান শুরু করেছে।

আরও পড়ুন