চট্টগ্রাম নগরীর পানওয়ালা পাড়ায় সুপ্তি মল্লিক হত্যা মামলায় তার স্বামী বাসু দেব ও ভাসুর অনুপম চৌধুরীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। শুক্রবার দুই আসামিকে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সুমিত বড়ুয়া বলেন, সুপ্তির বাবা সাধন কুমার মল্লিক বাদী হয়ে ডবলমুরিং থানায় স্বামী ও ভাসুরকে আসামি করে মামলা করেন। এই মামলায় দুই ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

অভিযুক্ত বাসু দেব একটি ফার্মেসিতে এবং তার বড়ভাই তপন চৌধুরী সেলুনে কাজ করতেন। তাদের বাড়ি রাঙামাটি জলার বাঘাইছড়িতে।

জানা যায়, গত ১৪ আগস্ট বাসু দেবের সঙ্গে কাপ্তাই চন্দ্রঘোনার বাসিন্দা ও রাঙামাটি সরকারি কলেজের সম্মান শ্রেণির শিক্ষার্থী সুপ্তির বিয়ে হয়। বিয়ের ১০ দিনের মাথায় সুপ্তির স্বামী বাসুর সঙ্গে তার তালতোবোনের পরকীয়ার বিষয়টি সুপ্তির নজরে আসে এবং তার পিতা-মাতাকেও তিনি জানান। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাক-বিতণ্ডাও হয়। পরে ৫ নভেম্বর বলমুরিং থানার পানওয়ালাপাড়ার নাছিমা মঞ্জিলের চতুর্থ তলার ৫০ নম্বর কক্ষ থেকে সুপ্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের পাশাপাশি সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটও তদন্তের জন্য আলামত সংগ্রহ করে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হন্তান্তর করলে সুপ্তির মরদেহ নগরীর অভয়মিত্র শশ্মানে দাহ করা হয়।

পুলিশ জানায়, গত বুধবার বিকেল তিনটার দিকে তাদের বাসায় এক যুবক আসেন দুপুরের ভাত খেতে। সুপ্তি প্রতিবেশীদের কাছে ওই যুবকের পরিচয় দেন আঙ্কেল বলে। আর বিকেল পাঁচটায় কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীরা বিছানায় সুপ্তির মৃতদেহ দেখতে পায়। এসব বিষয়ে তদন্ত চলছে।