নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় তালাক দেওয়ার দুই মাস পর সাবেক স্ত্রীকে অপহরণ করে সংঘবদ্ধ ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে সাবেক স্বামী ইসমাইল হোসেন বাপ্পির বিরুদ্ধে। গত বুধবার রাতের এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সুধারাম মডেল থানায় মামলা করা হয়েছে। 

পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাপ্পিকে গ্রেপ্তার করেছে। সে কবিরহাট উপজেলার নবগ্রামের ইউসুফের ছেলে।

থানায় করা মামলা সূত্রে জানা যায়, কবিরহাট উপজেলার নবগ্রামের বাসিন্দা বাপ্পি ওই তরুণীকে বছর দুয়েক আগে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে বাপ্পি মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। প্রায়ই তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ওই তরুণীকে মারধর করত। বাড়িতে শাশুড়ি, দেবর ও ননদও তাকে মানসিক নির্যাতন করত। দু'মাস আগে তাদের মধ্যে ডিভোর্স হয়ে যায়। তরুণী জানান, তার মা-বাবা নেই। ডিভোর্সের পর তিনি জেলা শহর মাইজদীতে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে শিক্ষানবিশ নার্স হিসেবে কাজ নেন। 

বুধবার রাতে ডিউটি শেষে শহরের হরিনারায়ণপুর চাচার বাসায় যাওয়ার পথে মাইজদী পুরান বাসস্ট্যান্ডে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। রাত ৮টার দিকে বাপ্পির নেতৃত্বে চার যুবক একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে এসে তাকে তুলে মুখ ও চোখ বেঁধে কবিরহাট উপজেলার নবগ্রামে বাপ্পির বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে বাপ্পি, তার সহযোগী রহিমসহ চারজন তাকে একটি ফাঁকা ঘরে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এতে তিনি বাধা দিলে তাকে মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে একটি কক্ষে আটকে রাখে। 

বৃহস্পতিবার ভোরে তিনি কৌশলে পালিয়ে মাইজদী শহরে এসে তার চাচার বাসায় আশ্রয় নেন। রাতে সুধারাম মডেল থানায় বাপ্পিকে প্রধান আসামি করে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে বাপ্পিকে গ্রেপ্তার করে। তাকে  শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সুধারাম মডেল থানার ওসি নবির হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।