ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটি যাচাই-বাছাই শেষে নির্বাচিতদের তালিকা প্রকাশ করেছে। আবেদন করা ৬৭ জনের মধ্য থেকে এ তালিকায় স্থান পেয়েছেন ৪৪ জন। বাদ পড়েছেন ২৩ জন।

বুধবার এই তালিকা প্রকাশিত হয়। স্থানীয়ভাবে তালিকা প্রকাশের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়েও একটি কপি পাঠিয়েছেন যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ।

উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আব্দুর রশিদ জানান, ২০১৭ সালে ‘ক’ তালিকাভুক্ত ৬৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে পুনরায় যাচাই-বাছাইয়ের জন্য চলতি বছরের ৬ মে জেলা প্রশাসক তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি অনুমোদন করেন। কমিটির সভাপতি ও সদস্য হিসেবে ছিলেন দুইজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং পদাধিকার বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমিটির সদস্য সচিব।

তিনি আরও জানান, যাচাই-বাছাই কমিটি আবেদনকারীদের সহযোদ্ধা হিসেবে লালমুক্তিবার্তাভুক্ত সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ, জমাকৃত মুক্তিযোদ্ধা সনদসহ অন্যান্য দালিলিক প্রমাণাদির প্রকাশ্য ও গোপন তদন্ত এবং গণশুনানির মাধ্যমে ধাপে ধাপে যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শেষ করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই কমিটির অন্য সদস্য ছিলেন ফরিদপুর জেলা স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আব্দুল জলিল।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য সচিব ঝোটন চন্দ জানান, পুনরায় যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে  আবেদনকারী ও সহযোদ্ধা সাক্ষীদের পৃথক পৃথকভাবে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে, যাতে কোনও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ না ওঠে। এছাড়াও বিভিন্ন শ্রেনীপেশার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে জমাকৃত মুক্তিযোদ্ধা সনদসহ অন্যানো দালিলিক প্রমাণাদির প্রকাশ্য তদন্ত ও গণশুনানি করে চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এ তালিকা নিয়ে কোন বিতর্ক হবে না বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।