নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন হয়েছে। বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। তারা আইভীর বিরুদ্ধে জাল দলিলে শতকোটি টাকা মূল্যের দেবোত্তর সম্পত্তি দখলচেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন।  

মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়। তবে মানববন্ধনে অংশ নেওয়া কয়েকজন বলেছেন, তাদের মূল ইস্যু ছিল সারাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা-নির্যাতনের প্রতিবাদ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কয়েকশ' বছর আগে নগরের দেওভোগ এলাকায় বিকন লাল ঠাকুর 'শ্রী শ্রী রাজা লক্ষ্মীনারায়ণ জিউর বিগ্রহ মন্দির' নির্মাণ করেন। মন্দিরের পাশে ৩৬৭ শতাংশ জমিতে একটি পুকুর খনন করা হয়। মন্দির ও পুকুর মিলিয়ে মোট ৪ একর জমি সিএস (ব্রিটিশ) পর্চায় দেবোত্তর সম্পত্তি হিসেবে রেকর্ডভুক্ত হয়। মন্দিরের পুকুরটি হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশাপাশি স্থানীয় মুসলমানরাও প্রাত্যহিক কাজে ব্যবহার করে আসছেন। শত শত বছর ধরে এই দেবোত্তর সম্পত্তি মন্দিরের সেবায়েত ও মন্দির কমিটিই দেখভাল করছে। কিন্তু জাল দলিল করে এই সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করছেন মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীসহ তার পরিবার ও স্বজনরা।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি, সাবেক রাষ্ট্রদূত অধ্যাপক নিম চন্দ্র ভৌমিক, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নির্মল চ্যাটার্জি, আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদের সদস্য চন্দন শীল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, পূজা উদযাপন পরিষদ জেলা কমিটির সভাপতি দিলীপ কুমার সাহা, সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপন, মহানগর সভাপতি অরুণ কুমার দাস, সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার সাহা, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার দাস, মহানগর কমিটির সভাপতি লিটন চন্দ্র পাল ও সাধারণ সম্পাদক নিমাই দে।

তবে অভিযোগগুলোর বিষয়ে স্থানীয় একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালকে মেয়র আইভী বলেছেন, মন্দিরের ওই সম্পত্তির সঙ্গে তার কোনো সংশ্নিষ্টতা নেই। নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি বিশেষ মহল তার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করছে। এই মানববন্ধন সেই ষড়যন্ত্রেরই অংশ।