- সারাদেশ
- ট্রেনে উঠতে ভরসা মই
ট্রেনে উঠতে ভরসা মই

মালঞ্চি স্টেশনে ট্রেনে উঠতে মইয়ের সাহায্য নিচ্ছেন যাত্রীরা- সমকাল
নাটোরের মালঞ্চি, ইয়াছিনপুর ও বাসুদেবপুর রেলস্টেশনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে কয়েক বছর আগে। সিগন্যাল ছাড়াই এসব স্টেশন হয়ে চলাচল করে ট্রেন।
নাটোর ও আব্দুলপুর স্টেশন থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয় সিগন্যাল। আন্তঃনগর ট্রেনগুলো দাঁড়ায় না এসব স্টেশনে। পার্বতীপুর থেকে খুলনাগামী রকেট মেইল ও রাজশাহীগামী উত্তরা এক্সপ্রেস নামে দুটি লোকাল ট্রেন থামে এসব স্টেশনে। ট্রেন দুটি তাদের মতো করেই এসব স্টেশনে এসে থামে এবং যাত্রী উঠিয়ে চলে যায়। ট্রেন দুটির নির্ধারিত সময় বেঁধে দেওয়া থাকলেও যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। মাস্টার বা টিকিট কাউন্টার না থাকায় ট্রেনের ভেতরেই যাত্রীদের টিকিট সংগ্রহ করতে হয়। এসব স্টেশনে চারটি পৃথক রেলক্রসিংয়ের ব্যবস্থা থাকলেও ব্যবহার উপযোগী লাইন মাত্র একটি। সেটাও প্ল্যাটফর্ম থেকে দূরে। ফলে মই বা চা দোকানের বেঞ্চ পেতে ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনে ওঠানামা করতে হয় যাত্রীদের। বিশেষ করে বাগাতিপাড়া উপজেলা সদরের মালঞ্চি স্টেশন হয়ে চলাচলকারী যাত্রীদের পোহাতে হয় দুর্ভোগ। মালঞ্চি স্টেশন সংলগ্ন সরকারি অফিস, আদালত ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠায় অনেকেই রেলপথে এসে অফিস করতেন। কিন্তু স্টেশন বন্ধ হওয়ায় সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এই উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ। ওই তিনটি স্টেশন ফের চালুর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
বাগাতিপাড়া পৌর মেয়র মোশাররফ হোসেন বলেন, কাদিরাবাদ সেনানিবাস ও একটি আর্মি টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এই স্টেশনকে ঘিরে। কিন্তু মালঞ্চি স্টেশনসহ বাগাতিপাড়া উপজেলার তিনটি স্টেশনের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ায় সুবিধাবঞ্চিত হচ্ছেন এ উপজেলার মানুষ। যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় স্টেশনে। আবার ট্রেন এসে থামে প্ল্যাটফর্মের বাইরের লাইনে। এতে যাত্রীদের ট্রেনে উঠতে-নামতে কষ্ট হয়। তিনি স্টেশনটি ফের চালুর দাবি জানান।
নাটোর রেলস্টেশনের স্টেশনমাস্টার অশোক কুমার চক্রবর্তী বলেন, মূলত জনবলের অভাবে গুরুত্বপূর্ণ এসব স্টেশনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। স্টেশনগুলো ফের চালু করতে জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সদস্য ও নাটোর-২ (সদর ও নলডাঙ্গা) আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল বলেন, স্টেশনগুলো কেন বন্ধ এবং এগুলো চালুর জন্য কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে কিনা, তা রেলের সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চেয়েছি। একইসঙ্গে পশ্চিমাঞ্চল রেলের মহাব্যবস্থাপকের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বলেছি।
নাটোর ও আব্দুলপুর স্টেশন থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয় সিগন্যাল। আন্তঃনগর ট্রেনগুলো দাঁড়ায় না এসব স্টেশনে। পার্বতীপুর থেকে খুলনাগামী রকেট মেইল ও রাজশাহীগামী উত্তরা এক্সপ্রেস নামে দুটি লোকাল ট্রেন থামে এসব স্টেশনে। ট্রেন দুটি তাদের মতো করেই এসব স্টেশনে এসে থামে এবং যাত্রী উঠিয়ে চলে যায়। ট্রেন দুটির নির্ধারিত সময় বেঁধে দেওয়া থাকলেও যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। মাস্টার বা টিকিট কাউন্টার না থাকায় ট্রেনের ভেতরেই যাত্রীদের টিকিট সংগ্রহ করতে হয়। এসব স্টেশনে চারটি পৃথক রেলক্রসিংয়ের ব্যবস্থা থাকলেও ব্যবহার উপযোগী লাইন মাত্র একটি। সেটাও প্ল্যাটফর্ম থেকে দূরে। ফলে মই বা চা দোকানের বেঞ্চ পেতে ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনে ওঠানামা করতে হয় যাত্রীদের। বিশেষ করে বাগাতিপাড়া উপজেলা সদরের মালঞ্চি স্টেশন হয়ে চলাচলকারী যাত্রীদের পোহাতে হয় দুর্ভোগ। মালঞ্চি স্টেশন সংলগ্ন সরকারি অফিস, আদালত ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠায় অনেকেই রেলপথে এসে অফিস করতেন। কিন্তু স্টেশন বন্ধ হওয়ায় সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এই উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ। ওই তিনটি স্টেশন ফের চালুর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
বাগাতিপাড়া পৌর মেয়র মোশাররফ হোসেন বলেন, কাদিরাবাদ সেনানিবাস ও একটি আর্মি টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এই স্টেশনকে ঘিরে। কিন্তু মালঞ্চি স্টেশনসহ বাগাতিপাড়া উপজেলার তিনটি স্টেশনের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ায় সুবিধাবঞ্চিত হচ্ছেন এ উপজেলার মানুষ। যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় স্টেশনে। আবার ট্রেন এসে থামে প্ল্যাটফর্মের বাইরের লাইনে। এতে যাত্রীদের ট্রেনে উঠতে-নামতে কষ্ট হয়। তিনি স্টেশনটি ফের চালুর দাবি জানান।
নাটোর রেলস্টেশনের স্টেশনমাস্টার অশোক কুমার চক্রবর্তী বলেন, মূলত জনবলের অভাবে গুরুত্বপূর্ণ এসব স্টেশনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। স্টেশনগুলো ফের চালু করতে জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সদস্য ও নাটোর-২ (সদর ও নলডাঙ্গা) আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল বলেন, স্টেশনগুলো কেন বন্ধ এবং এগুলো চালুর জন্য কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে কিনা, তা রেলের সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চেয়েছি। একইসঙ্গে পশ্চিমাঞ্চল রেলের মহাব্যবস্থাপকের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বলেছি।
মন্তব্য করুন