ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

বোরো বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত চলনবিলের কৃষকরা

বোরো বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত চলনবিলের কৃষকরা

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২০ | ০০:৪৪

করোনাকালীন সময়ে অতিরিক্ত খাদ্যশস্য উৎপাদনে বোরো আবাদকে সামনে রেখে চলনবিলের কৃষকরা বোরো বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বীজতলা তৈরি ও বীজ ছিটানোর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন তারা।

কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর চলনবিলের সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর, পাবনার ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর, চাটমোহর, নাটোরের সিংড়া, গুরুদাসপুর ও নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। 

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা রুহাই গ্রামের কৃষক আয়নাল হোসেন জানান, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে বিস্তীর্ণ ফসলি মাঠে বোরো আবাদের জন্য তারা বোরো বীজতলা তৈরি করছেন। ইতিমধ্যেই যে সকল জমিতে রবিশষ্য আবাদ হচ্ছে না সে সকল জমিতে প্রথমদিকে পৌষ মাসের শুরুতেই যাতে ধান রোপন করা যায় সে জন্য তারা দ্রুতগতিতে বীজতলায় বীজ ছিটাচ্ছেন।

তাড়াশের লালুয়ামাঝিড়া গ্রামের কৃষক ফরহাদ হোসেন জানান, চলনবিলের প্রত্যন্ত এলাকার আবাদী জমির জন্য ইতিমধ্যেই প্রায় ৪০-৫০ ভাগ বোরো বীজতলায় বীজ ছিটানো হয়েছে। যা আগামী এক মাসের মধ্যে বীজতলা থেকে বীজ তুলে জমিতে লাগানো সম্ভব হবে। 

এদিকে স্থানীয় বীজ ব্যাবসায়ীরা জানান, বর্তমানে চলনবিলের হাঁট-বাজারে বোরো বীজের বিক্রি বেড়ে গেছে। আর স্থানীয় কৃষকরা বলেন, বোরো বীজের মূল্য তাদের নাগালের মধ্যেই রয়েছে। ফলে এলাকায় বোরো বীজের কোনো সংকট নেই।

তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ লুৎফুলন্নাহার লুনা জানান, চলনবিলের ফসলি মাঠে বোরো বীজতলা তৈরিতে কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। বোরো বীজের কোনো সংকট না থাকায় এ বছর চলনবিল অঞ্চলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে বোরো আবাদ করা সম্ভব হবে।

আরও পড়ুন

×