- সারাদেশ
- এক অলরাউন্ডারেই বাজিমাত রাজশাহীর
এক অলরাউন্ডারেই বাজিমাত রাজশাহীর

মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর জয়ের নায়ক মাহেদি হাসান। ছবি: বিসিবি
করোনায় আক্রান্ত থাকায় খেলোয়াড় ড্রাফট থেকে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে দলে নেওয়ার সুযোগ পেয়েও নেয়নি মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। বরং তারা অলরাউন্ডার দলে ভেড়ানোর দিকে বেশি মনোযোগী ছিল। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে তাই শুরুতে দলে টেনেছিলেন রাজশাহীর অভিজ্ঞ কোচ সারোয়ার ইমরান।
এরপরই তিনি দলে নেন ডানহাতি অফ স্পিন অলরাউন্ডার মাহেদি হাসানকে। বাংলাদেশ জাতীয় দলে এখনও নিজের সেরাটা দিতে না পারলেও মাহেদি বিপিএলে নিজের প্রমাণ দিয়েছেন। সর্বশেষ প্রেসিডেন্টস কাপেও ছিলেন ফর্মে। ফরহাদ রেজাকেও রাজশাহী কোচ দলে ডাকেন নামের শেষে অলরাউন্ডার যুক্ত থাকায়।
কিন্তু অলরাউন্ডার সমৃদ্ধ রাজশাহী শুরুর আগেই খায় ধাক্কা। ইনজুরি নিয়ে ছিটকে যান দলের অন্যতম ভরসা আইকনিক সাইফউদ্দিন। চোখ তাই ছিল নাজমুল শান্ত এবং মাহেদির দিকেই। প্রথম ম্যাচেই বাজিমাত করলেন 'মিনিস্টার মাহেদি হাসান'। ব্যাট হাতে দেখালেন ঠান্ডা মাথায় সাহস, বল হাতে দেখালেন বুদ্ধি মেশানো কারিশমা।
তার অলরাউন্ড পারফরম্যান্সেই পাঁচ দল নিয়ে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু কাপে শক্ত দল মুশফিকুর রহিমের ঢাকাকে ২ রানে হারাল রাজশাহী। মাহেদি হাসান ব্যাট হাতে ৩২ বলে খেলেন ৫০ রানের অসামান্য ইনিংস। দলের বিপর্যয়ে তার ওই ইনিংস সাজানো ছিল তিন চার এবং চারটি ছক্কায়। আর বল হাতে ৪ ওভারে মাত্র ২২ রান খরচায় নিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ একটি উইকেট।
এর মধ্যে শেষ ওভারে জয়ের জন্য ঢাকার দরকার ছিল মাত্র ৯ রান। ক্রিজে ছিলেন হার্ড হিটার পেস অলরাউন্ডার মুক্তার আলী। ঠিক আগের ওভারেই যিনি ফরহাদ রেজাকে তিনটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। কিন্তু মাহেদির স্পিন জাদু যেন মুক্তারের হাত-পা অবশ করে ফেলে। শুরুর তিন বলই তাই ডট দিয়ে বসেন মুক্তার। চতুর্থ বলে মারের চার। পঞ্চম বলটা নো পেয়েও ব্যাট তুলতে পারেননি মুক্তার। পরের ফ্রি হিট বলটা থেকেও নয়। শেষ বলে তাই ঢাকার দরকার ছিল চার রান। মেহেদি দিলেন মাত্র ১! এক হাতেই যেন দলকে জেতালেন তিনি।
মন্তব্য করুন