শ্রমিক লীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন
শ্রমিক লীগ নেতা ওমর ফারুক
গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২০ | ১০:৫৬
দুই বছরের বেশি সময় পর গাজীপুরের শ্রমিক লীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। গার্মেন্টের ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শ্রীপুর পৌর শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুককে ২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর দুই হাত বিচ্ছিন্ন করে হত্যার পর পিকআপ থেকে ফেলে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে মামলার ২নং আসামি জসিম উদ্দিন ওরফে কসাই জসিম আদালতে ওমর ফারুক হত্যার রোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার। ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থানার বালিচান্দা গ্রামের আছমত আলীর ছেলে জসিম উদ্দিনকে গত শনিবার রাতে হালুয়াঘাট থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশের একটি দল। তবে মামলার প্রধান আসামি সুমন আজও ধরা পড়েনি।
আদালতে কসাই জসিমের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার জানান, ২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর সকালে শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তার বর্ণমালা সড়কের মসজিদ মোড় এলাকা থেকে একটি পিকআপে তোলা হয় ওমর ফারুককে। পিকআপটি দ্রুত গ্রামের ভেতর দিয়ে সামনের দিকে এগোতে থাকে। ওই পিকআপের পেছনে অন্য একটি পিকআপে পিস্তল তাক করে চালকের আসনের পাশে বসা ছিল কালো কাপড়ে মুখ বাঁধা এক যুবক। পেছনে বসা আরও ৮-১০ জন। সামনের চলন্ত পিকআপেই প্রথমে ফারুকের মাথায় আঘাত করা হয়। পরে ঠান্ডা মাথায় সন্ত্রাসীরা পিকআপের ভেতরেই দা দিয়ে কুপিয়ে ওমর ফারুকের দেহ থেকে দুই হাত বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। এক কিলোমিটার দূরে কেওয়া পশ্চিমখণ্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এসে থামে গাড়ি দুটি। পিকআপ থেকে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয় হাতবিহীন রক্তাক্ত দেহ। আর স্কুলের মাঠে ছুড়ে ফেলা হয় তার দুই হাত।
এ ঘটনায় নিহত ফারুকের বাবা হাফিজুল ইসলাম ওই দিনই হত্যা মামলা করেন।
জসিম আদালতকে আরও জানায়, ওই হত্যা মিশন পরিচালনার আগের রাতে শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পশ্চিমখণ্ড গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে সুমন মিয়ার বাড়িতে বৈঠক হয়। ঝুট ব্যবসা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মূলত সুমনের সঙ্গে ফারুকের বিরোধ ছিল।