বন্ধুদের সঙ্গে বাগেরহাটের মোংলায় বেড়াতে এসে এক তরুণী (১৯) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

টানা ৫দিন বিভিন্ন স্থানে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণের পর স্থানীয় বানীশান্তা যৌনপল্লীতে বিক্রির চোষ্টাকালে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে মোংলা থানা পুলিশ। এ ঘটনায় আটক করা হয় দুই যুবককে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর আটকদের যুবকদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে বাগেরহাট কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, চট্টগ্রামে ইপিজেডে চাকরির সুবাদে খাগড়াছড়ির মহলছড়ির কালাপাহাড় এলাকার এক তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয় মোংলার সুমন শরিফ ও মেহেদী হাসানের। পরিচয় ও বন্ধুত্বের কারণে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে। গত সপ্তাহে ওই তরুণীকে ভালো কাজের প্রলোভন দেখিয়ে ফুঁসলিয়ে ওই দুই যুকক ঝিনাইদহ সদরে নিয়ে আসে। সেখানে এক বন্ধুর বাড়িতে তিন দিন থাকার পর বেড়ানোর কথা বলে গত মঙ্গলবার তরুণীকে মোংলার শেলাবুনিয়ায় মেহদী হাসানের বাড়িতে আনা হয়। এখানে দু’দিন থাকার পর বুধবার বিকালে ওই তরুণীকে ট্রলারযোগে বানীশান্তা নিষিদ্ধ পল্লীতে (যৌনপল্লী) পাচারের চেষ্টাকালে খবর পেয়ে মোংলা থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। এসময় সুমন শরিফ ও মেহেদী হাসানকে আটক করে পুলিশ।

এ ঘটনায় মামলা দায়ের শেষে বৃহস্পতিবার আটকদের কারাগারে পাঠানো হয়। আর ওই তরুণীর শারীরিক পরীক্ষার পর তাকেও আদালতের মাধ্যমে নিরাপত্তা হেফাজতে সোপর্দ করা হয়। 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোংলা থানার ওসি (তদন্ত) তুহিন মন্ডল জানান, প্রতারণার মাধ্যমে ফুঁসলিয়ে আনা ওই তরুণীকে বিভিন্ন স্থানে আটকে রেখে ধর্ষণ করে দুই যুবক। স্থানীদের সহায়তায় তাদের আটকসহ তরুণীকে উদ্ধার করা হয়েছে।