- সারাদেশ
- কৃষক লীগের সম্মেলনে ছাত্রলীগের মারামারি
কৃষক লীগের সম্মেলনে ছাত্রলীগের মারামারি
-samakal-5fc11cf76e409.jpg)
এক পর্যায়ে দু’পক্ষের চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে -সমকাল
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় কৃষক লীগের সম্মেলনে তুচ্ছ ঘটনায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটেছে। পরে জরুরি সভা ডেকে সহিংসতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাস।
শুক্রবার সন্ধ্যার আগে উপজেলার হিরণ ইউনিয়ন পরিষদ ভবন চত্বরে ইউনিয়ন কৃষক লীগের সম্মেলনে এ ঘটনা ঘটে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, বিকেল ৪টায় সম্মেলন শুরুর কিছু সময় পরে পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী সেলিম আহম্মেদ ছোটন বক্তব্য দেন। বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছে উপজেলা, কলেজ ও পৌর ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দিয়ে সম্মেলন দেওয়ার দাবি জানান। তার এই বক্তব্যের প্রতিবাদ করেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাইনুল ইসলাম রিমো। এ সময় দুই নেতার সমর্থকদের মাঝে হাতাহাতি ও চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। সম্মেলনে উপস্থিত উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের হস্তক্ষেপে দু'পক্ষ শান্ত হয়।
এ ঘটনার পর সম্মেলন সংক্ষিপ্ত করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাস ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি হিসেবে ইউনুচ শেখ ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রফিকুল ইসলামের নাম ঘোষণা করেন।
হিরণ ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি সামচুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাস ছাড়াও সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বিশ্বাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম হুমায়ুন কবির, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া দাড়িয়া, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান হাজরা, জেলা পরিষদ সদস্য মাজাহারুল আলম পান্নাসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী সেলিম আহম্মেদ ছোটন বলেন, কোটালীপাড়া উপজেলা যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ। বক্তব্য দেওয়ার সময় জ্যেষ্ঠ নেতাদের কাছে এই মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে সম্মেলন দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলাম। বক্তব্যের মাঝখানে উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাইনুল ইসলাম রিমো বেআইনিভাবে বাধা দেয়। ছোটন আরও বলেন, রিমো একটা বেয়াদব। তার বহিস্কার দাবি করছি।
তবে মাইনুল ইসলাম রিমো বলেন, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি ছোটন অসাংগঠনিকভাবে বক্তব্য দিয়েছেন। বর্তমানে গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের কমিটি নেই। উপজেলা কমিটি ভাঙার ক্ষমতা একমাত্র জেলা কমিটিই রাখে। ছোটন অসাংগঠনিকভাবে বক্তব্য দেওয়ায় তার প্রতিবাদ করেছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, ছাত্রলীগ যে ঘটনা ঘটিয়েছে, তা অনাকাঙ্ক্ষিত। এ ব্যাপারে আমরা জরুরি সভা ডেকে তাদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেব।
মন্তব্য করুন