- সারাদেশ
- ‘করোনাকালেও দেশে ধনীর সংখ্যা চার হাজার বেড়েছে’
আলোচনা সভায় বক্তারা
‘করোনাকালেও দেশে ধনীর সংখ্যা চার হাজার বেড়েছে’

আলোচনা সভায় বক্তারা- সমকাল
নারায়ণগঞ্জে এক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, বর্তমানে করোনা প্রাদুর্ভাবের সময় সাম্রাজ্যবাদ, পুঁজিবাদের অন্তঃসারশূন্যতা জনগণের সামনে উন্মোচিত হয়েছে। এই করোনাকালেও বাংলাদেশে চার হাজারের ওপরে ধনীর সংখ্যা বেড়েছে। গুম, খুন, নারী ধর্ষণ-নির্যাতন, শ্রমিক ছাঁটাই নিত্যকার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কর্তৃত্ববাদী শাসনে মানুষ বিপর্যস্ত। গণতন্ত্র নির্বাসিত। এ অবস্থায় মতভিন্নতা সত্ত্বেও সব বামপন্থি কমিউনিস্টকে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে।
তারা বলেন, পুঁজিবাদী ব্যবস্থা প্রাণ-প্রকৃতি পরিবেশ ধ্বংস করেছে। ধ্বংস করছে মানবিকতা। এই শোষণমূলক পুঁজিবাদী ব্যবস্থাকে উচ্ছেদ করে শ্রমিক শ্রেণির রাষ্ট্র তথা সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র কায়েমের সংগ্রামে এগিয়ে আসার জন্য তারা সবার প্রতি আহ্বান জানান।
'ভারত উপমহাদেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের শতবর্ষ' শীর্ষক এ আলোচনা সভা শুক্রবার বিকেলে নগরের ২ নম্বর রেলগেটে বাসদ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সমাজ অনুশীলন কেন্দ্র আয়োজিত এ সভায় সংগঠনের সমন্বয়ক রঘু অভিজিৎ রায়ের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা মো. কিবরিয়া, বিপ্লবী শ্রমিক আন্দোলনের আহ্বায়ক বিপ্লব ভট্টাচার্য, বাসদের জেলা সমন্বয়ক নিখিল দাস, সিপিবির জেলা সাধারণ সম্পাদক শিবনাথ চক্রবর্তী ও সমাজ অনুশীলনের বিমল কান্তি দাস।
বক্তারা বলেন, এ উপমহাদেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের শতবর্ষ উদযাপন হচ্ছে। এই শতবর্ষে শ্রমিক শ্রেণির রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে বহু বিপ্লবী শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন অসংখ্য। কৃষক শ্রমিকসহ শ্রমজীবীদের সব অংশে কমিউনিস্টরা বিচরণ করেছেন, সংগঠিত করেছেন। জীবন বাজি রেখে লড়াই করেছেন। আমাদের এই ভূখণ্ডের ভাষা আন্দোলন, শিক্ষা আন্দোলনসহ মুক্তিযুদ্ধে কমিউনিস্টরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। স্বাধীন বাংলাদেশেও শাসক-শোষকদের সব আক্রমণের বিরুদ্ধে কমিউনিস্টরা রাজপথে লড়াই জারি রেখেছেন।
মন্তব্য করুন