হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের ভেতরে নিয়ে চালককে হত্যার পর ইজিবাইক (টমটম) ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন আটক তিনজন। জবানবন্দিতে তারা চালককে হত্যার কথাও স্বীকার করেন। সোমবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান।

তিনি বলেন, ইজিবাইকচালক আলমগীরকে নারীর প্রলোভন দেখিয়ে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে নেওয়া হয়েছিল।

এরআগে গত শনি ও রোববার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম ১৬৪ ধারায় আসামিদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। আসামিরা হলেন- জেলার মাধবপুরের খড়কি গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে রোকন মিয়া (৩০), একই উপজেলার বেজুড়া গ্রামের ছফন উদ্দিনের ছেলে মুসলিম মিয়া (২৭) ও বানিয়াচং উপজেলার জাতুকর্ণপাড়ার মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে সোহেল মিয়া (৪০)।

নিহত ইজিবাইক চালক আলমগীর মিয়া মাধবপুর উপজেলার বনগাঁও গ্রামের রহমত আলীর ছেলে।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্লাহ জানান, ২০১৯ সালের ১৭ জুলাই সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের ভেতরে একটি টিলা থেকে একটি গলিত মরদেহটি উদ্ধার হয়। ৬ মাস পর চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি মরদেহটি আলমগীর মিয়ার বলে নিশ্চিত হয় পুলিশ। এরপর তার মোবাইল কল লিস্টের সূত্র ধরে গত ১৮ ডিসেম্বর চুনারুঘাট থেকে মুসলিম ও ২০ ডিসেম্বর বানিয়াচং উপজেলা থেকে রোকন এবং সোহেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তারা নিজেরদের দোষ স্বীকার করে।

আদালতের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার জানান, আটকরা ঘটনার দিন ইজিবাইকচালক আলমগীরকে নারীর প্রলোভন দেখিয়ে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে নিয়ে যায়। সেখানে একটি দোকানে আলমগীরকে ঝালমুড়ি খাওয়ায়। এরপর উদ্যানের ভেতরে একটি টিলায় নিয়ে তিনজন মিলে তাকে হত্যা করে। পরে তারা আলমগীরের ইজিবাইক নিয়ে বানিয়াচং চলে যায়। সেখানে ইজিবাইকটি ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করে তারা ভাগবাটোয়ারা করে নেয়।