নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের তথ্য সংগ্রহ ফরম বিতরণ অনুষ্ঠানে উপজেলা বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও আহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত), পৌর বিএনপির সভাপতি, সম্পাদকসহ চারজনকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে তারা নোয়াখালী চীফজুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করলে শুনানী শেষে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. সাঈদীন নাঁহী ওই ৪ নেতাকে জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

জেল হাজতে প্রেরণকৃত নেতারা হচ্ছেন- চাটখিল উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. শাহাজাহান রানা, পৌর বিএনপির সভাপতি ও চাটখিল পৌরসভার সাবেক মেয়র মোস্তফা কামাল, সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান সামছুল আরেফিন শামীম ও রামনারায়নপুর ইউনিয় পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী ভূট্টু। চাটখিল থানার ওসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় চাটখিল উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতা কর্মীদের মাঝে গ্রেপ্তার আতংক বিরাজ করছে।

স্থানীয় বিএনপি ও চাটখিল থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলা বিএনপির সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক দলের উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি গঠনের লক্ষ্যে গত শনিবার তথ্য সংগ্রহ ফরম বিতরণ কর্মসূচি আয়োজন করে বিএনপির একাংশ (ব্যারিস্টার মাহ্বুব উদ্দিন খোকন গ্রুপ)। এই উপলক্ষে উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে এক সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাবের হোসেন।

সভা শুরু হওয়ার পর বিএনপির অপর গ্রুপের (মামুনুর রশীদ মামুন গ্রুপ) লোকজন সভাস্থলে এসে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় বিএনপি কার্যালয়ের অর্ধশতাধিক চেয়ার ও আসবাবপত্র ভাংচুর করা হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ১৪-১৫ জন নেতা কর্মী আহত হন। হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে শনিবার রাতে বিএনপির ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১৪০-১৫০ জন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যাক্তির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মালায় বিএনপির ৪ নেতা স্বেচ্ছায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করলে শুনানী শেষে বিজ্ঞ আদালত ওই ৪ নেতাকে জামিন মঞ্জুর না করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।