নরসিংদীর মাধবদী পৌর মেয়র মো. মোশাররফ হোসেন প্রধান মানিকের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের গচ্ছিত ৮২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সংবাদ করেছেন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ। সোমবার দুপুরে মাধবদী বাজার মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনের সংগঠনটির সভাকক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি একটি প্রকাশিত রিপোর্টে দেওয়া বক্তব্যে মাধবদী পৌর মেয়র মোশাররফ হোসেন মানিক তার কাছে মাধবদী বাজারের ব্যবসায়ীদের গচ্ছিত ৮২ লাখ টাকা থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। মাধবদী বাজার মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনকে অবৈধ সংগঠন বলে অভিহিত করেছেন। পাশাপাশি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমাকে কটাক্ষ করে বক্তব্য প্রদান করেন, যা অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক। অ্যাসোসিয়েশন ও মাধবদী বাজারের ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে আমি এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।’

তিনি বলেন, শিবু নাথ ও ভোলা নাথ নামে মাধবদীর দুই ব্যবসায়ী বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে নগদ ও কাপড় বাবদ প্রায় ১৮ কোটি টাকা দেনা করে দেওলিয়া হয়ে যায়। পরে ব্যবসায়ীদের অভিযোগের ভিত্তিতে মাধবদী বাজার মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে মাধবদী পৌর মেয়র মোশাররফ হোসেন প্রধান অভিযুক্ত ব্যবসায়ী শিবু নাথ ও ভোলা নাথের পক্ষে ৪ কোটি টাকা অ্যাসোসিয়েশনের বরাবর বুঝিয়ে দেওয়ার রফাদফা করেন। এই মর্মে মেয়র মোশাররফ শিবু নাথ ও ভোলা নাথের মজুদে থাকা ৮২ লাখ টাকার কাপড় বিক্রি করেন। কিন্তু কাপড় বিক্রির ৮২ লাখ টাকা প্রাপ্তির বিষয়টি অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃপক্ষকে শুধুমাত্র অবহিত করেন। অ্যাসোসিয়শনের কাছে টাকা জমা না দিয়ে মেয়র মোশাররফ তার কাছেই রেখে দেন। এ ব্যাপারে অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃপক্ষ দফায় দফায় সেই টাকা বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য মেয়রকে তাগিদ দিলে তিনি সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। পরবর্তীতে পাওনাদার ব্যবসায়ীদের চাপে অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃপক্ষ মেয়রকে টাকা পরিশোধের জন্য চিঠি পাঠায়। চিঠির প্রেক্ষিতে মেয়র মোশাররফ ৩০ নভেম্বর টাকা পরিশোধ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু সময়মতো সেই টাকা পরিশোধ না করে উল্টো অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃপক্ষকে অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলেন। পরে গত ৮ ডিসেম্বর জরুরি সভা ডেকে পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ ও অ্যাসোসিয়েশনে তার সদস্য পদ বাতিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।