- সারাদেশ
- সিলেটে 'বিভেদের' ডামাডোলে বিএনপির সমন্বয় কমিটির নেতৃত্বে মেয়র আরিফ
সিলেটে 'বিভেদের' ডামাডোলে বিএনপির সমন্বয় কমিটির নেতৃত্বে মেয়র আরিফ

ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার গুঞ্জনের মধ্যে বিজয় দিবসে নিজের অবস্থান জানান দিয়েছিলেন সিলেটের মেয়র আরিফুর হক চৌধুরী। গত ১৬ ডিসেম্বর বিএনপির ব্যানারে নিজের অনুসারীদের নিয়ে বিশাল শোডাউন করেন তিনি। একই দিন জেলা ও মহানগর বিএনপির ব্যানারে নগরীতে পৃথক শোডাউন করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির। ২০১৮ সালে সিলেট সিটি নির্বাচনের আগে থেকে মেয়র আরিফ ও মুক্তাদিরের মধ্যে ঠাণ্ডা লড়াই চলছে।
সম্প্রতি মেয়র আরিফের শোডাউনের পর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবুল কাহের শামীম স্থানীয় একটি পত্রিকায় মেয়র আরিফ 'কোন দলের জানেন না' বলে মন্তব্য করেন। এ নিয়ে বিতর্কের মধ্যে দলের হয়ে 'বড় দায়িত্ব' পেলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মেয়র আরিফ।
'বিভেদের' ডামাডোলের মধ্যে সিলেট বিভাগে সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন সমন্বয় কমিটিতে তাকে আহবায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এতে সদস্য সচিব কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হোসেন জীবন।
আগামী বছরের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি হবে। এবারের বিজয় দিবসের পর থেকে তাই সরকারিভাবে বছরব্যাপী স্বাধীনতার রজত জয়ন্তী উপযাপন করা হবে। রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি আলাদাভাবে স্বাধীনতার রজত জয়ন্তী পালনের উদ্যোগ নিয়েছে। এলক্ষ্যে বিএনপি কেন্দ্রীয়ভাবে কমিটির পাশাপাশি বিভাগীয় সমন্বয় কমিটি গঠন করেছে। সিলেট বিভাগের কমিটিতে আরিফের নেতৃত্বকে 'বিজয়' হিসেবে দেখছেন অনুসারীরা।
সিলেট বিভাগের সমন্বয় কমিটিতে আহবায়ক মেয়র আরিফের নেতৃত্বে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট ফজলুল হক আসপিয়া, তাহসিনা রুশদীর লুনা, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ও এনামুল হক চৌধুরী। এরপর ক্রমানুসারে সদস্য সচিব হিসেবে ডা. জীবনের নাম রয়েছে। খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মর্যাদাপূর্ণ সিলেট-১ (সদর-নগর) আসনে বিএনপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
এই কমিটির অপর সদস্যরা হলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জিকে গউছ, সিলেট বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক দিলদার হোসেন সেলিম ও কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন, কেন্দ্রীয় সহ-স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আক্তার, কেন্দ্রীয় সদস্য নাসির উদ্দিন চৌধুরী, মিজানুর রহমান চৌধুরী, ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, খালেদা রব্বানী, নাসের রহমান, এবাদুর রহমান চৌধুরী, মুজিবুর রহমান চৌধুরী, শেখ সুজাত মিয়া, অ্যাডভোকেট হাদিয়া চৌধুরী মুন্নি, মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সামিয়া চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, রেজাউল হাসান কয়েস লোদি ও আব্দুল লতিফ।
এছাড়া সিলেট বিভাগের চার জেলা ও সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহবায়ক, প্রথম যুগ্ম আহবায়ক ও সদস্য সচিব পদাধিকার বলে সমন্বয় কমিটিতে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের পর বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের সঙ্গেও সুসম্পর্ক রয়েছে সিলেটের মেয়র আরিফ। সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের পক্ষথেকে নগরীর উন্নয়নে সিটি করপোরেশনকে হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সবমিলে আগামী সিটি নির্বাচনের পূর্বে মেয়র আরিফ বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার পক্ষে অনেকে বাজি ধরেন। এমন পরিস্থিতির মধ্যে মহান বিজয় দিবসে নগরীতে শো-ডাউন করেন মেয়র আরিফ।
মন্তব্য করুন