ফেসবুকে মোবাইল-ল্যাপটপ বিক্রির বিজ্ঞাপন দেখে ফেইক আইডি থেকে বিক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর বিক্রেতার কাছ থেকে নগদ টাকায় কিনে নেন এসব পণ্য। তবে তা আসল টাকায় নয়, জাল টাকায়। এ ধরণের কয়েকটি ঘটনায় অভিযোগ পেয়ে জাল টাকায় মোবাইল-ল্যাপটপ কেনার হোতা ও জাল টাকা বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করেছে নগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। রোববার রাতে নগরের বন্দর থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- কক্সবাজার জেলার পেকুয়া থানার বকশিয়া ঘোনা গ্রামের শামসুল আলম মহিউদ্দিন আল আজাদ মহিন খাঁন ও বাগেরহাট জেলার সদর থানার দেবপাড়া গ্রামের মো. মাহবুব মোল্লার ছেলে মারুফ মোল্লা। তাদের কাছ থেকে ৩ লাখ ৩৪ হাজার টাকা মূল্যমানের জাল নোট, ছয়টি মোবাইল ও একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়েছে।

কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ কমিশনার আসিফ মহিউদ্দীন সমকালকে জানান, সম্প্রতি আমেরিকা থেকে আসা এক ব্যক্তি তার ব্যবহৃত ‘স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট-২০ আলট্রা’ মোবাইল সেট বিক্রির জন্য ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেন। বিজ্ঞাপন দেখে ফাহিম খান নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে ৭৮ হাজার টাকায় সেটটি কিনে নেন। পরে ওই ব্যক্তি বুঝতে পারেন তাকে দেওয়া ৭৮ হাজার টাকার পুরোটাই জাল নোট। এ ঘটনায় প্রতারিত ব্যক্তি কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটে অভিযোগ দেন। এর কিছুদিন পর জুলাই মাসে অন্য এক যুবক ‘ওয়ান প্লাস-৮ প্রো’ সেট বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়ে মোবাইল বিক্রি করে একইভাবে প্রতারিত হন।

তিনি জানান, দু’টি অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায় একই ব্যক্তি দুই ঘটনা ঘটিয়েছেন। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বন্দর এলাকা থেকে মহিউদ্দিনকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ফাহিম খান পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করেছেন বলে স্বীকার করেন। তার বাসায় অভিযান চালিয়ে ওই দুটি মোবাইল সেটসহ ছয়টি মোবাইল সেট, একটি ল্যাপটপ ও ৩৪ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়। মহিউদ্দিনের জাল টাকার উৎস খোঁজার জন্য জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মারুফ মোল্লার নাম জানান। পরে কাছাকাছি স্থান থেকে তিন লাখ টাকার জাল নোটসহ মারুফকে গ্রেপ্তার করা হয়। মারুফ বাগেরহাট থেকে প্রতি লাখ জাল টাকা সাত থেকে আট হাজার টাকায় সংগ্রহ করেন। আর মহিউদ্দিনের কাছে ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। গ্রেপ্তার দুইজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।