ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন জামায়াতের আমির গ্রেপ্তার

মো. কাজী হানিফ আনসারী। ফাইল ছবি
কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২৩ | ০৬:২৯ | আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২৩ | ০৬:২৯
নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরপাবর্তী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমীর মো. কাজী হানিফ আনসারীকে (৪৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি চরপার্বতী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আমিন উল্যাহ’র ছেলে।
রেববার রাত ১০টার দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বলেন, ‘গত ৮ অক্টোবর চরপার্বতী ইউনিয়নের কদমতলা এলাকায় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগার ও আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ৩৬টিরও বেশি মামলা রয়েছে। তবে সেগুলোতে তিনি জামিনে রয়েছেন।’
ওসি প্রণব চৌধুরী জানান, সোমবার সকালে কাজী হানিফকে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ১০ অক্টোবর চরপার্বতী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে কাজী হানিফকে প্রধান আসামি করে ৩১ জনের নামসহ ২০-২৫ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। আসামিদের মধ্যে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের শীর্ষ নেতারাও রয়েছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৮ অক্টোবর রোববার গভীর রাতে কাজী হানিফের নির্দেশে একদল দুর্বৃত্ত চরপার্বতী ইউনিয়নের কদমতলা নামক এলাকায় আ’লীগ কার্যালয়ে ককটেল বিষ্ফোরণ, ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেন।
বসুরহাট পৌরসভা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মোশাররফ হোসাইন সমকালকে বলেন, ‘মিথ্যা, বাটোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গায়েবি মামলায় বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। অবিলম্বে এসব গায়েবি মামলা প্রত্যাহার এবং কাজী হানিফসহ কারাবন্দিদের মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।’