নারী ইউপি সদস্যকে মারধরের অভিযোগ আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে টিসিবির পণ্য বিতরণকে কেন্দ্র করে সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্যকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার চাষিরহাট ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। হামলা ও মারধরের ঘটনায় বিকেলে সোনাইমুড়ি থানায় ওই আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ইউপি সদস্য।

আহত ইউপি সদস্যের নাম ছাহেলা বেগম (৫১)। তিনি সোনাইমুড়ী উপজেলার চাষিরহাট ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য। অভিযুক্ত আবদুল মান্নান মোনাফ একই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।

লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ‘বেলা ১১টার দিকে চাষিরহাট ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে টিসিবির পণ্য বিতরণ করতে যান ডিলাররা। এ সময় সেখানে আসেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোনাফ। গত মাসে কেন টিসিবির পণ্য আসে নাই- এ প্রশ্ন করে তিনি টিসিবির ডিলার ও জনপ্রতিনিধিদের গালিগালাজ শুরু করেন। ইউপি সদস্য ছাহেলা বেগম তাকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে তার ওপর হামলা চালান মোনাফ। এ সময় বাধা দিতে গেলে আরেক ইউপি সদস্য ও একজন গ্রাম পুলিশ সদস্য মোনাফের হামলার শিকার হন।’

সালেহা বেগম বলেন, ‘বিনা কারণে আবদুল মান্নান মোনাফ আমার ওপর হামলা করে আমাকে জুতা দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে। আমাকে রক্ষা করতে গিয়ে একজন ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তিনি সরকারদলীয় নেতা, আমি জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। তিনি তো আমার ওপর এভাবে হামলা করে মারধর ও জুতাপেটা করতে পারেন না। আমি তার যথাযথ শাস্তি দাবি করছি।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মান্নান মোনাফ বলেন, ‘ইউপি সদস্যকে আমি ডাক দিলে তিনি আমার জন্য জুতা নেন। চেয়ারম্যান মেম্বারসহ বসতে বলেন।’  

চাষিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হানিফ মোল্লা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে পরিষদে বৈঠক ডাকা হয়েছে। বৈঠক শেষে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।   

সোনাইমুড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আফম বাবুল বাবু বলেন, আওয়ামীলীগ নেতা হোক আর অন্য যেকোনো ব্যক্তিই হোক না কেন একজন নারী জনপ্রতিনিধিকে জনসমক্ষে জুতাপেটা করতে পারেন না। বিষয়টি দলের জন্য বিব্রতকর। এ বিষয়ে আমরা হামলাকারীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, লিখিত একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।