বাঞ্ছারামপুরে মা ও ২ ছেলেকে হত্যা ‘পারিবারিক বিরোধে'
বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২৩ | ০৬:১৪ | আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২৩ | ০৬:১৭
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে মা ও দুই ছেলেকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় একজনকে আটক করেছে মডেল থানা পুলিশ। তার নাম জহিরুল ইসলাম। তিনি নিহত জেকি আক্তারের বড় বোনের মেয়ের জামাই। নরসিংদীর মাধবদীতে শ্বশুরবাড়ি থেকে মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জহিরুল ইসলামের বাড়ি নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী থানার আলগীরচর গ্রামে।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নুরে আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। হত্যার ঘটনায় জেকি আক্তারের বাবা আবুল হোসেন বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন। মঙ্গলবার সকালে বাঞ্ছারামপুরের আইয়ুবপুর ইউনিয়নের চর ছয়ানী দক্ষিণপাড়ার সৌদি প্রবাসী শাহ আলমের বাড়ির দরজা ভেঙে মা ও দুই ছেলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
জেকি আক্তারের ভাই শামীম আহমেদ বলেন, ‘জহিরুল আমার বড় বোন শিল্পীর মেয়ে আনিকার জামাই। ভাগ্নির বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে সমস্যা হওয়ায় প্রায়ই আমার বোনের বাড়িতে এসে থাকত। জহিরুলও এ বাড়িতে নিয়মিত আসা-যাওয়া করত। সোমবার সকালে জেকির চর ছয়ানী গ্রামের বাড়িতে গিয়ে নাস্তা খেয়ে চলে যায়। আবার রাত আটটার দিকে আমার বোনের বাড়িতে যায়। সেখানে যাওয়ার কথা তার শাশুড়ি ও বউকে জানাতে নিষেধ করে। আমার বোন বিষয়টি আমার বড় বোন ও ভাগ্নিকে জানায়। এ কারণে জহিরুল বটি-দা দিয়ে কুপিয়ে আমার বোন ও দুই ভাগ্নেকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পালিয়ে মাধবদীতে আমার বড় বোনের বাসা যায়। সেখান থেকে পুলিশ রাতে তাকে আটক করে। ভাগ্নের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় আমার ভাগ্নি বেশিরভাগ সময় আমার বোনের বাড়িতে থাকত। এ নিয়ে জামাই ও ভাগ্নির মধ্যে ঝামেলা চলছিল।’
মামলার বাদী ও জেকি আক্তারের বাবা আবুল হোসেন জানান, আমার মেয়ে ও নাতিদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে জহিরুল। আমার নাতিনের বিয়ের পর থেকে সংসারে অশান্তি চলে আসছিল।
বাঞ্ছারাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নূরে আলম জানান, জহিরুল নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। মামলার আরও কার্যক্রম চলছে।