ঢাকা রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

নেত্রকোনা-২

মনোনয়নের আশায় এলাকামুখী আওয়ামী লীগ নেতারা

মনোনয়নের আশায় এলাকামুখী আওয়ামী লীগ নেতারা

 নেত্রকোনা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২৩ | ০০:৪৩ | আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২৩ | ০০:৪৩

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে এখনও একমত হতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো। আওয়ামী লীগ বলছে– বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে। আর বিএনপির দাবি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন। এই অবস্থার মধ্যেই নেত্রকোনা-২ (সদর-বারহাট্টা) আসনে প্রচার-প্রচারণায় নেমে পড়েছেন নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী আওয়ামী লীগ নেতারা।

আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা নির্বাচনী এলাকার হাট-বাজার চষে বেড়াচ্ছেন। করছেন সভা-সমাবেশ, গণসংযোগ। চলছে জনসমর্থন প্রদর্শনের কার্যক্রম। তবে বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ অন্য কোনো রাজনৈতিক দল এখনও নিবাচনী তৎপরতা শুরু করেনি।

নেত্রকোনা-২ আসনে নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন– জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুত্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামছুর রহমান লিটন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম খান, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য হাবিবা রহমান খান শেফালী, সাবেক উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি লে. কর্নেল  (অব.) আবদুন নূর খান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শাহ মোস্তফা আলমগীর, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার রায়, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের সভাপতি অধ্যাপক ওমর ফারুক, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় আইনবিষয়ক উপকমিটির সাবেক সদস্য ব্যারিস্টার রানা তাজউদ্দিন খান, জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ সারোয়ার মোর্শেদ আকন্দ।

স্থানীয় নেতাকর্মীর দাবি, মনোনয়নপ্রত্যাশীদের অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচনী এলাকায় অনুপস্থিত। এলাকার মানুষের সঙ্গে তাদের তেমন কোনো যোগাযোগ নেই। তবে নির্বাচন সামনে রেখে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের আনাগোনা বেড়ে গেছে এলাকায়। এলাকার ভোটার, সাধারণ মানুষ ও দলীয় নেতাকর্মীর মন জয়ের চেষ্টায় তৎপর হয়ে উঠেছেন তারা। নির্বাচনী এলাকায় নিজেদের পরিচয় তুলে ধরার জন্য ব্যানার-পোস্টার সাঁটিয়েছেন। সড়কে ছবিসংবলিত তোরণ নির্মাণ করছেন।

কথা হয় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির সদস্য শাহ মোস্তফা আলমগীরের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ছাত্রজীবন থেকে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করছি। দলের জন্য আমাকে হামলা-মামলার শিকার হতে হয়েছে। দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয়, তবে এমপি নির্বাচিত হয়ে এলাকার উন্নয়নে ও মানুষের কল্যাণে কাজ করব। আশা করি, দলীয় হাইকমান্ড বিষয়টি বিচেনা করে আমাকে মনোনয়ন দেবে।’

নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামছুর রহমান লিটনের ভাষ্য, জীবন বাজি রেখে ছাত্রজীবন থেকে দলের হয়ে কাজ করছেন। আগামী দিনেও কাজ করবেন। তাঁরও প্রত্যাশা, দলীয়প্রধান ও হাইকমান্ড বিষয়টি বিবেচনা করে আগামী নির্বাচনে তাঁকেই মনোনয়ন দেবেন। তিনি বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। মনোনয়ন পেলে বিজয়ী হবো ইনশাআল্লাহ। তার পর সবাইকে নিয়ে এলাকার উন্নয়নে কাজ করব।’

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমি আওয়ামী পরিবারের সন্তান। বাবা মরহুম আব্বাস আলী খান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। ছাত্রজীবন থেকে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি, দলীয় হাইকমান্ড আগামী নির্বাচনে আমাকে মনোনয়ন দেবে এবং এমপি নির্বাচিত হয়ে এলাকার মানুষের কল্যাণে কাজ করব।’

সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছি। দল আমাকে এ আসন থেকে দুইবার মনোনয়ন দিয়েছে। আশা করি, সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য দল আমাকে আবার মনোনয়ন দেবে।’

আরও পড়ুন

×