বংশী থেকে বালু উত্তোলন, ঝুঁকিতে বাড়ি-কৃষি জমি

ধামরাইয়ের গাওতারায় বংশী নদীতে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। বুধবার তোলা। ছবি: সমকাল
ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২৩ | ০১:১২ | আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২৩ | ০১:২৩
ঢাকার ধামরাইয়ের গাওতারা এলাকায় একটি প্রভাবশালী চক্র বংশী নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বালু বিক্রি করছে তারা। এতে নদী তীরবর্তী এলাকার ফসলি জমি, বসতবাড়ি ও বাগান ভাঙনের মুখে পড়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা গতকাল বুধবার ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
গাওতারা গ্রামে সরেজমিন গেলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, স্থানীয় ইউসুফ আলী ও আসলাম হোসেনসহ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি সাত-আটদিন ধরে বালু উত্তোলন করছেন। বসতবাড়ি, ফসলি জমি ও লেবু বাগানের পাশে ড্রেজার বসিয়ে গ্রামের হারুন, ফরহাদ হোসেন ও কামাল হোসেনের বসতবাড়ি ভরাট করা হচ্ছে। এতে স্থানীয় আব্দুল মজিদ সিকদার, শাহনাজ বেগম, ইয়ার হোসেন, মন্টু মিয়া, আইয়ুব আলীসহ কয়েকজনের বাড়ি, জমি ও বাগান ভাঙনের মুখে পড়েছে।
আব্দুল মজিদ সিকদার ও শাহনাজ বেগমের অভিযোগ, এর প্রতিবাদ করতে গেলে হুমকি-ধমকি দেন বালু উত্তোলনকারীরা। উপায় না পেয়ে বুধবার ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তারা।
বসতবাড়ি ভরাটের বিষয়ে জানতে চাইলে কামাল হোসেন কোনো জবাব না দিয়ে বালু বিক্রেতা আসলাম হোসেনের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। পরে আসলাম বংশী নদী থেকে বালু উত্তোলনের কথা স্বীকার করে বলেন, উপজেলা প্রশাসনের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে কারও বসতবাড়ি, ফসলি জমি বা বাগানের ক্ষতি হচ্ছে না।
অভিযোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় যাদবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সাইফুল ইসলাম বলেন, যেভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে, তাতে যে কোনো সময় বসতবাড়ি, ফসলি জমি ও বাগান বিলীন হয়ে যাবে।
উত্তোলন করা বালু বিক্রির জন্য নয় জানিয়ে যাদবপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, তাঁর জানা মতে সরকারি রাস্তা নির্মাণে কিছু বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। যদি কৃষকের ক্ষতি করে বালু বিক্রি করা হয়, তাহলে সরেজমিন গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইউএনও হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।