ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

গির্জা সমিতির জমি নিয়ে বিরোধ, আরও ২ মামলা

গির্জা সমিতির জমি নিয়ে বিরোধ, আরও ২ মামলা

সিলেট ব্যুরো

প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২৩ | ১৩:১৯ | আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৩ | ১৫:৩২

সিলেট নগরীর রিকাবিবাজার এলাকার গির্জার জমি জালিয়াতি করে দখল ও বহুতল ভবন নির্মাণ নিয়ে দেড়যুগ ধরে দুই পক্ষের মধ্যে মামলা চলছে। এরই জেরে ইম্পালস বিল্ডার্স নামে একটি কোম্পানির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলামসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে নতুন করে আরও দুটি মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সিলেটের ১ নং আমলি আদালতে পুলিশ লাইনস লুসাই গির্জা সমিতির সভাপতি জামিংথাংগা লুসাই বাদী হয়ে এ মামলা করেন। অপর মামলাটি করেন ওই কোম্পানির গ্রাহক তৌহিদুল ইসলাম।

আদালতের বিচারক মো. সুমন ভুঁইয়া মামলাটি তদন্তে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)  নির্দেশ দিয়েছেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ মখলিছুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জামিংথাংগা লুসাইয়ের মামলায় ইম্পালস বিল্ডার্স কোম্পানির চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহিউল ইসলাম চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা আফসানা ও ডেপুটি ম্যানেজার হাসান মোহাম্মদ জাকারিয়াসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করেন।

এজাহারে তিনি বিবাদীদের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মাধ্যমে গির্জা সমিতির জমিকে নিজের দাবি ও প্রতারণার অভিযোগ করেন।

অপর মামলায় নগরীর জল্লারপাড়ের বাসিন্দা তৌহিদুল ইসলাম একই আসামিসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে পরের জায়গা নিজের দাবি করে তাঁর সঙ্গে চুক্তিপত্র করা ও প্রতারণার অভিযোগ করেন। 

সিলেট জেলা স্টেডিয়াম সংলগ্ন রিকাবিবাজার এলাকার লুসাই সমিতির ৮০ শতক জায়গা নিয়ে ২০০৫ সাল থেকে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে।

এর মধ্যে সিলেট জেলা বারের আইনজীবী ও ভূমি ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে গির্জার ১৫ শতক জায়গা জালিয়াতি করে দখল করে ইম্পালস টাওয়ার নামে একটি বহুতল ভবণ নির্মাণের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে গত দেড় যুগে উভয় পক্ষের মধ্যে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। মামলার কারণে বহুতল ওই ভবনটির নির্মাণকাজ চার-পাঁচ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে।

২০২১ সালের ২৯ জুন জায়গার কাগজপত্র জালিয়াতি করে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগে সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা করে। বিভিন্ন মামলা চলমান থাকা অবস্থায় গত ১২ অক্টেবর জায়গাটি নিজের দাবি করে গির্জা সমিতির বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন ইম্পালস বিল্ডার্সের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম। বিভিন্ন মামলায় একাধিকবার কারাগারে ছিলেন অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম।

আরও পড়ুন

×