গাজীপুরে মা ও তিন সন্তান হত্যা
ক্লু পায়নি পুলিশ

গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২০ | ১২:০০
'আমার ছেলের লগে কারও কোনো বিরোধ আছিল না। তার কোনো শত্রু আছিল না। কিন্তু আমার এই সর্বনাশ করল ক্যাডা? সুখের একটা সংসার এইভাবে ক্যাডায় ভাইঙ্গা চুরমার কইরা দিল? আমার পোলাডায় এখন কী লইয়া বাঁইচ্যা থাকবো?' আবুল হোসেন বলছিলেন কথাগুলো। দুর্বৃত্তদের নির্মমতায় তিনি প্রবাসী ছেলের বউ, দুই নাতনি ও এক নাতিকে হারিয়েছেন।
গত বুধবার রাতে গাজীপুরের শ্রীপুরের জৈনাবাজার এলাকায় দোতলা একটি বাড়ির দ্বিতীয় তলায় শোবার ঘরে বীথি ফাতেমা এবং তার তিন
সন্তান সাবরিনা সুলতানা নূরা (১৬), নাওরিন হাওয়া (১২) ও ফারদিন ফাদিলকে (৮) গলা কেটে হত্যা করা হয়। বিবস্ত্র অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে কী কারণে মালয়েশিয়া প্রবাসী ছেলে রেজোয়ান হোসেন কাজলের স্ত্রী ও তিন সন্তানকে হত্যা করা হয়েছে সে হিসাব মেলাতে পারছেন না আবুল হোসেন। রহস্যজনক এ হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনে পুলিশ বেশ কয়েকটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে মাঠে কাজ করছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ হত্যাকাণ্ডের কোনো ক্লু পায়নি পুলিশ। তবে শিগগির রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা তাদের।
এ ঘটনায় গতকাল আবুল হোসেন বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় মামলা করেছেন। মামলায় কারও নাম উল্লেখ না করে অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়েছে। ইন্দোনেশিয়া বংশোদ্ভূত বীথি ফাতেমা ও তার তিন সন্তানের লাশ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল রাতে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার লংগাইর ইউনিয়নের গোলাবাড়ী গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়।
জানা গেছে, রেজোয়ান হোসেন কাজল দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়ায় রয়েছেন। সেখানেই ইন্দোনেশিয়ার অধিবাসী বীথি ফাতেমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। পরে কাজল ইন্দোনেশিয়ায় গিয়ে ফাতেমাকে বিয়ে করে সংসার গড়েন। তাদের সংসারে তিন সন্তানের জন্ম হয়। বড় মেয়ে কলেজে ও ছোট মেয়ে স্কুলে পড়াশোনা করছিল। ছোট ছেলে ছিল জন্ম থেকেই বাক-প্রতিবন্ধী। কাজল জৈনাবাজার এলাকায় জমি কিনে স্ত্রী-সন্তানদের দোতলা বাড়ি করে দেন।
এদিকে চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের কোনো ক্লু খুঁজে পায়নি পুলিশ। গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল শেখ বলেন, বেশ কয়েকটি বিষয় মাথায় রেখেই তারা তদন্তের কাজ এগিয়ে নিচ্ছেন। ধর্ষণের পর তাদের হত্যা করা হয়েছে- প্রাথমিক তদন্তে এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনি বলেন, বাসায় ডাকাতদল এসেছিল কিনা, চিনে ফেলার কারণে এমন নির্মম ঘটনা ঘটিয়েছে কিনা- সেটাও দেখা হচ্ছে। বাসা থেকে কোনো মালপত্র লুট হয়েছে কিনা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পূর্ব শত্রুতার জের কিংবা পারিবারিক কোনো দ্বন্দ্ব এমনকি ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক বীথি ফাতেমার প্রতি কারও কোনো আক্রোশ ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বলেন, মর্মস্পর্শী এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। সব আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। শিগগিরই রহস্য উদ্ঘাটন সম্ভব হবে।
গত বুধবার রাতে গাজীপুরের শ্রীপুরের জৈনাবাজার এলাকায় দোতলা একটি বাড়ির দ্বিতীয় তলায় শোবার ঘরে বীথি ফাতেমা এবং তার তিন
সন্তান সাবরিনা সুলতানা নূরা (১৬), নাওরিন হাওয়া (১২) ও ফারদিন ফাদিলকে (৮) গলা কেটে হত্যা করা হয়। বিবস্ত্র অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে কী কারণে মালয়েশিয়া প্রবাসী ছেলে রেজোয়ান হোসেন কাজলের স্ত্রী ও তিন সন্তানকে হত্যা করা হয়েছে সে হিসাব মেলাতে পারছেন না আবুল হোসেন। রহস্যজনক এ হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনে পুলিশ বেশ কয়েকটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে মাঠে কাজ করছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ হত্যাকাণ্ডের কোনো ক্লু পায়নি পুলিশ। তবে শিগগির রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা তাদের।
এ ঘটনায় গতকাল আবুল হোসেন বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় মামলা করেছেন। মামলায় কারও নাম উল্লেখ না করে অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়েছে। ইন্দোনেশিয়া বংশোদ্ভূত বীথি ফাতেমা ও তার তিন সন্তানের লাশ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল রাতে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার লংগাইর ইউনিয়নের গোলাবাড়ী গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়।
জানা গেছে, রেজোয়ান হোসেন কাজল দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়ায় রয়েছেন। সেখানেই ইন্দোনেশিয়ার অধিবাসী বীথি ফাতেমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। পরে কাজল ইন্দোনেশিয়ায় গিয়ে ফাতেমাকে বিয়ে করে সংসার গড়েন। তাদের সংসারে তিন সন্তানের জন্ম হয়। বড় মেয়ে কলেজে ও ছোট মেয়ে স্কুলে পড়াশোনা করছিল। ছোট ছেলে ছিল জন্ম থেকেই বাক-প্রতিবন্ধী। কাজল জৈনাবাজার এলাকায় জমি কিনে স্ত্রী-সন্তানদের দোতলা বাড়ি করে দেন।
এদিকে চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের কোনো ক্লু খুঁজে পায়নি পুলিশ। গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল শেখ বলেন, বেশ কয়েকটি বিষয় মাথায় রেখেই তারা তদন্তের কাজ এগিয়ে নিচ্ছেন। ধর্ষণের পর তাদের হত্যা করা হয়েছে- প্রাথমিক তদন্তে এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনি বলেন, বাসায় ডাকাতদল এসেছিল কিনা, চিনে ফেলার কারণে এমন নির্মম ঘটনা ঘটিয়েছে কিনা- সেটাও দেখা হচ্ছে। বাসা থেকে কোনো মালপত্র লুট হয়েছে কিনা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পূর্ব শত্রুতার জের কিংবা পারিবারিক কোনো দ্বন্দ্ব এমনকি ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক বীথি ফাতেমার প্রতি কারও কোনো আক্রোশ ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বলেন, মর্মস্পর্শী এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। সব আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। শিগগিরই রহস্য উদ্ঘাটন সম্ভব হবে।
- বিষয় :
- হত্যা