ঢাকা মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বগুড়ায় চার মামলায় বিএনপির ১২৭ নেতাকর্মী আসামি

বগুড়ায় চার মামলায় বিএনপির ১২৭ নেতাকর্মী আসামি

বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের ডাকা রোববারের হরতালে সংঘর্ষকালে। ছবি-সমকাল

বগুড়া ব্যুরো

প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০২৩ | ২০:৩২ | আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২৩ | ২০:৩২

বিএনপির ডাকা হরতালে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় বগুড়ার সদরে চার মামলায় ১২৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

মামলাগুলোতে বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা ও সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা, বগুড়া সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাফতুল খান রুবেল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মিজানুর রহমান, জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাইদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক নূর আলম সিদ্দিকী রিগ্যান প্রমুখ নেতাকর্মীদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এসব মামলায় অজ্ঞাত আসামি রয়েছে অসংখ্য।

বগুড়া জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগে দপ্তর সম্পাদক আল রাজী জুয়েল বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় সোমবার রাতে বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। গত ২৯ অক্টোবর সারাদেশে বিএনপির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলাকালে বগুড়ায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নাশকতা চালানো হয়।

সেদিন বিএনপির নেতাকর্মীদের ককটেল বিস্ফোরণে আহত হওয়ার কথা জানিয়ে আল রাজী জুয়েল বলেন, মামলায় বগুড়া জেলা বিএনপির ৮৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও অনেককে।

এর আগে রোববার বগুড়া সদরের ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে খোলারঘরে হরতাল সমর্থকরা অ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন যানবাহনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন। এই সময় র‍্যাব ও হাইওয়ে পুলিশের গাড়িকে লক্ষ্য করেও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। বাধা দিতে গেলে বগুড়া সদর থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশের ওপর হামলা চালায় হরতাল সমর্থকরা। এই সময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে শটগান থেকে ৩৫ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে পুলিশ। এরমধ্যে ৩০ রাউন্ড ডিবি পুলিশ ও ৫ রাউন্ড সদর থানা পুলিশ গুলি চালায়।

পরে এই ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলা ও কাজে বাধা দানের অভিযোগ এনে বিশেষ ক্ষমতা আইনে বগুড়া সদর থানার এসআই রুম্মন হাসান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় বিএনপির ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে৷ এছাড়াও অজ্ঞাত আসামি রয়েছেন আরও অনেকে।

একই স্থানে দুপুরে পিকেটারদের হামলার শিকার হয় বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফিরোজা পারভীনকে বহনকারী সরকারি গাড়ি। হরতালকারীরা গাড়ির জানালার কাঁচসহ বিভিন্ন অংশ ভাঙচুর করেন। ইউএনও ফিরোজা পারভীন সেদিন সদরের লাহিড়ীপাড়া ইউনিয়নের একটি মন্দির পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে তিনি হামলার মুখে পড়েন।

এই ঘটনায় ইউএনওর দেহরক্ষী আনসার সদস্য জাহিদুল হক বাদী হয় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন৷ মামলায় ১৪ আসামির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এখানেও অনেক অজ্ঞাত আসামির কথা উল্লেখ আছে।

আরেকটি মামলা হয় বগুড়া শহরের নবাববাড়ী সড়কে বিএনপি-ছাত্রদলের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে। পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে এ মামলায় ছাত্রদলের ১০ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়। মামলায় একজন গ্রেপ্তার আছেন। এই মামলা দায়ের করেন সদর ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) খোরশেদ। এখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ২০ রাউন্ড শটগানের গুলি ছুঁড়ে।

সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, চার মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে৷

আরও পড়ুন

×