বিচ্ছেদের পরও নির্যাতন থামছে না সাবেক স্বামীর

ছবি: প্রতীিকী
আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৩ | ১৩:১০ | আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৩ | ১৯:১০
স্বামীর নির্যাতন থেকে বাঁচতে বিয়েবিচ্ছেদের পরও রেহাই পাচ্ছেন না এক নারী। তাঁকে প্রায়ই সাবেক স্বামীর নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে। ঘটনাটি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার গোপালপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের।
জানা গেছে, ২০০৬ সালের মার্চে গোপালপুর গ্রামের জুম্মন খানের ছেলে মনির খানের সঙ্গে একই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসমান খানের মেয়ে মিনা বেগমের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে তিন সন্তান রয়েছে। সংসারের প্রতি মনির বরাবরই উদাসীন থাকায় গত ১৯ মে মনিরের সঙ্গে বিয়েবিচ্ছেদ ঘটান মিনা। এরপর তিনি গোপালপুর হাটের পাশে হাবিবুর রহমান মোল্যার ভাড়া বাসায় সন্তানদের নিয়ে বসবাস করে আসছেন।
মিনা বেগম জানান, পরিবারে কথা বলে তাদের সম্মতিতেই তিনি মনিরের সঙ্গে বিয়েবিচ্ছেদ ঘটান। এরপর মনির তাঁর ভাড়া বাসায় এসে তাঁকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করেই চলেছে। গত কোরবানির ঈদের দিন তাদের ঘরে আগুন দেয় মনির। গত মাসের শেষ সপ্তাহে প্রায় প্রতিদিনই তাঁকে মারধরের চেষ্টা করে। গত মঙ্গলবার গোপনে তাঁর বাসায় ঢুকে তাঁকে মেরে আহত করেছে মনির। এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা থানায় একাধিক অভিযোগ দিয়েছেন। আদালতে মামলাও করেছেন। মামলার পর ২২ দিন জেল খেটে ১০ অক্টোবর জামিনে এসে ওই দিনই রাত ৩টার দিকে মিনার বাবার বাড়িতে উপস্থিত হয়ে হুমকি দেয় মনির।
গোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান খান সাইফুল ইসলাম জানান, জনপ্রতিনিধিসহ এলাকাবাসী অনেকবার মনিরকে বুঝিয়েছেন। প্রতিবারই মনির আর কোনো দিন সাবেক স্ত্রীর কাছে আসবেন না বলে জানান। কিন্তু পরে কথা রাখেন না। তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া আর উপায় নেই।
এ বিষয়ে মনির খান জানান, স্ত্রী তাঁর সঙ্গে এভাবে হঠাৎ বিয়েবিচ্ছেদ ঘটাবে, তা ভাবেননি। তিনি তালাকনামা গ্রহণ করেননি। সন্তানদের দেখার জন্য তিনি মিনার বাড়িতে যান। কিন্তু তারা তাঁর সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করে। তিনি স্ত্রী-সন্তানকে ফেরত চান। তাদের কাছে পেলে তিনি ভালো হয়ে যাবেন বলে আশ্বাস দেন।
আলফাডাঙ্গা থানার ওসি মোহম্মদ আবু তাহের বলেন, আদালতের নির্দেশে মনির খানের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া হয়েছিল। ওই মামলায় তিনি জেল খেটেছেন। প্রয়োজনে আবারও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
- বিষয় :
- আলফাডাঙ্গা
- ফরিদপুর