পাচারের সময় বিলুপ্ত ৫ মুখপোড়া হনুমান উদ্ধার

চট্টগ্রাম নগরীর শাহ আমানত সেতু এলাকা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তল্লাশি করে বিলুপ্ত প্রজাতির পাঁচটি মুখপোড়া হনুমান উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- মো. সেলিম (৫৩), সালাউদ্দিন কাদের (৩৫) ও নুরুল কবির (৩১)।

শনিবার নগরীর চেরাগী পাহাড়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার (দক্ষিণ) মোস্তাফিজুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। 

সিএমপির উপপুলিশ কমিশনার বলেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য পৃথিবীজুড়ে গোয়েন্দা নজরদারি পরিচালনা করছে ইন্টারপোল। তার অংশ হিসেবে পুলিশের হেডকোয়াটার্সের তথ্য অনুযায়ী, বাকলিয়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে পাঁচটি মুখপোড়া হনুমানসহ তিন প্রাণী পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছে।

তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের গহীন অরণ্যে থেকে প্রাণীগুলো ধরে এনে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত ও নৌ পথ দিয়ে ইউরোপ-আমেরিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বিদেশে এসব প্রাণীর অনেক দাম। যে প্রাণী যত বেশি বিরল, তার দাম তত বেশি। তাই লোভে পড়ে পাচারকারীরা বিলুপ্ত প্রাণি বিদেশে পাচার করছে।

মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, চক্রে জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে। এরা তিনজন শুধু বাহক। চট্টগ্রামকে তারা একটি রুট হিসেবে ব্যবহার করছে। গ্রেপ্তার তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী, বন বিভাগের কাছে প্রাণীগুলোকে হস্তান্তর করা হবে।

তিনি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছেন, কক্সবাজারের মহেশখালী থেকে হনুমান পাঁচটি চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হচ্ছিল। শাহ আমানত সেতু পার হয়ে বাকলিয়ায় ইমরান নামে এক ব্যক্তির হাতে দেওয়ার কথা ছিল। এজন্য তাদের ৭০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা হয়েছিল। সেগুলো ভারতের বর্ডারে নিয়ে এরপর বিদেশে পাচারের পরিকল্পনা করেছিল তারা। 

এর আগে গত ৩০ অক্টোবর নগরীর বাকলিয়া থানার শাহ আমানত সেতু এলাকায় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তল্লাশি করে মহাবিপন্ন দুইটি গোরখাদকসহ দুই পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।