কোচিংয়ের নামে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায়

ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের গাছতলা উচ্চ বিদ্যালয় ভবন - সমকাল
ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২৩ | ১৭:৩২ | আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২৩ | ২৩:৩২
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের গাছতলা উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণে নির্ধারিত ফির বাইরে কোচিংয়ের নামে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
এমন অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় একাধিক অভিভাবক। অনেক পরীক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে প্রাতিষ্ঠানিক হয়রানি এড়াতে তারা কেউ নাম বা পরিচয় প্রকাশ করতে চায়নি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুমিতা বালা তালুকদারের নির্দেশে সহকারী প্রধান শিক্ষক দিনুল ইসলামসহ ফরম পূরণের দায়িত্বে থাকা শিক্ষকরা এ টাকা আদায় করছেন বলে জানা গেছে। বাধ্যতামূলক কোচিং ফি আদায়ের বিষয়টি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি এক সভার মাধ্যমে নির্ধারণ করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। তবে ম্যানেজিং কমিটির একাধিক সদস্য জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে কোনো সভা হয়নি। কমিটির পক্ষ থেকে এমন কোনো সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়নি।
জানা গেছে, এ বিদ্যালয় থেকে নিয়মিত ৭৯ ও অনিয়মিত ৫০ পরীক্ষার্থী সামনের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে। গত মাসের শেষ দিকে বিদ্যালয়ে পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ কার্যক্রম শুরু হয়। তবে পরীক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে গিয়ে জানতে পারে, তাদের জন্য কোচিং বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ফরম পূরণের নির্ধারিত ফির সঙ্গে প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে কোচিং ফি বাবদ আরও দুই হাজার টাকা আদায় করা হচ্ছে। অনেক পরীক্ষার্থী কোচিংয়ে অনাগ্রহ দেখালেও কোচিং ফির টাকা বাধ্যতামূলক পরিশোধ করার জন্য বিদ্যালয় থেকে বলা হচ্ছে। এমনকি কোচিংয়ের টাকা না দিলে ফরম পূরণ বা পরবর্তী সময়ে পরীক্ষার্থীদের সমস্যা হতে পারে বলেও কৌশলে হুমকি দিচ্ছেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা।
ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ফেরদৌসুর রহমান, আবু সাঈদ ও শহীদুল ইসলাম শাহীন জানান, ফরম পূরণ বা কোচিং করানোর ব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির কোনো সভা হয়নি। এমনকি তারা এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না।
এদিকে ফরম পূরণের সঙ্গে কোচিংয়ের টাকা আদায়কারী বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক দিনুল ইসলাম জানান, প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে কোচিংয়ের জন্য টাকা নেওয়া হচ্ছে। গত বছর কোচিং না হওয়ায় ফল খারাপ হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক সুমিতা বালা তালুকদার বলেন, ম্যানেজিং কমিটির সব সদস্যের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রেজুলেশন করে পরীক্ষার্থীদের ফল ভালো করার জন্য কোচিং বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহবুবুল কবির জানান, অনেক প্রতিষ্ঠানে ভালো ফল করার জন্য অল্প টাকায় বা বিনামূল্যে বিশেষ ক্লাস নেওয়া হয়। তবে এত (দুই হাজার) টাকা নিয়ে কোচিং বাধ্যতামূলক করার বিষয়টি তাঁর জানা নেই। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলেও জানান তিনি।