ঢাকা বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

বড় পাঙাশে চওড়া হাসি জেলের

বড় পাঙাশে চওড়া হাসি জেলের

মাওয়া আড়তে শনিবার রাখা দুটি বড় পাঙাশ। আগের রাতেই এক কিশোর পদ্মা থেকে ধরেছে মাছ দুটি -সমকাল

লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২৩ | ১৭:৫৯ | আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২৩ | ২৩:৫৯

মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে পদ্মা নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে নানা আকারের পাঙাশ মাছ। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর থেকে শিকারে নেমে তাই চওড়া হাসি জেলেদের মুখে। দুই দিনে উপজেলার মাওয়া মৎস্য আড়তে পাঙাশের দামও কমেছে। 

জেলেদের কারও জালে চার-পাঁচটি, আবার কারও জালে ১০-১৫টি করে পাঙাশ ধরা পড়ছে। এসব মাছের ওজন চার থেকে ১৫ কেজির মধ্যে। তবে বেশির ভাগের ওজন ৭ থেকে ১০ কেজি। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, কিছুদিন আগেও পদ্মার পাঙাশ কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়। এ দু’দিনে তা ৭০০-৮০০ টাকায় নেমেছে।

ইলিশ সংরক্ষণে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষে জাল নিয়েই পাঙাশ ধরে খুশি জেলেরা।  গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলার খড়িয়া থেকে ঝাউটিয়া পর্যন্ত পদ্মাপাড় ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। অনেক জেলে এদিন মাছ বিক্রি করতে না পেরে নদীতে বাঁশের খুঁটি পুঁতে তাতে সারি সারি পাঙাশ রশি দিয়ে বেঁধে রেখেছেন। শুক্রবার রাতে জেলে জয়নাল দেওয়ান পাঙাশ ধরেছেন সাতটি। এ ছাড়া দাদন দেওয়ান ৬টি, জাকির হাওলাদার ১০টি, ফজল হক ৩টি পেয়েছেন।

৬-৭ বছর ধরে ইলিশ সংরক্ষণের নিষেধাজ্ঞার শেষ হলে পদ্মায় এমনভাবে পাঙাশ মিলছে বলে জানান ফজল হক, মোয়াজ্জেম হোসেন, আবদুর রহিম, বিল্লাল হোসেন, কাইউম খানসহ কয়েকজন জেলে। তাদের ভাষ্য, এতে নিষেধাজ্ঞার সময়ে যে ক্ষতি হয়, তা কাটিয়ে ওঠা যায়। 

জেলেরা জানিয়েছেন, মুন্সীগঞ্জের লৌহজং ও টঙ্গীবাড়ি উপজেলা এবং শরীয়তপুরের টার্নিং পয়েন্টে পদ্মা নদীতে বড় আকৃতির পাঙাশ ধরা পড়ছে। এর বেশির ভাগই উঠছে লৌহজংয়ের 
মাওয়া মৎস্য আড়তে। আড়ত মালিকরা সেসব মাছ কিনে পাইকারদের কাছে বিক্রি করছেন। 

আড়তদার মো. জালাল মৃধা মনে করেন, জাটকা ইলিশের মতো ছোট পাঙাশ নিধনও বন্ধ করা উচিত। এতে ভবিষ্যতে বেশি পরিমাণে ও আকারে বড় পাঙাশ ধরা পড়বে।

দাম নাগালের মধ্যে থাকায় দূরদূরান্ত থেকে অনেক সাধারণ ক্রেতাও মাওয়ায় আসছেন মাছ কিনতে। শনিবার এসেছিলেন ঠিকাদার জাকির হোসেন। তিনি বলেন, এখানে পাঙাশের দাম বাজারের চেয়ে কিছুটা কম। তাছাড়া তাজা মাছ কেনার জন্যই এসেছেন।

লৌহজং উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছরই ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমের পর নদীতে বিপুল পরিমাণ পাঙাশ মাছ দেখা যায়। গত বছর পাঙাশের পোনা বিক্রি বন্ধে চেষ্টা করেছেন। ভবিষ্যতেও এ ধারা চালিয়ে যেতে চান।
 

whatsapp follow image

আরও পড়ুন

×