ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩

রাস্তায় ধস, হুমকিতে সংলগ্ন ঘরবাড়ি

রাস্তায় ধস, হুমকিতে  সংলগ্ন ঘরবাড়ি

নদী খননের পর তিতাসের মজিদপুর কান্দপাড়া-মৌটুপী রাস্তাটি ধসে গেছে -সমকাল

বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | ১৮:৩১ | আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২৩ | ০০:৩১

কুমিল্লার তিতাসে অপরিকল্পিতভাবে তিতাস নদী খনন করার কারণে ধসে পড়েছে এলজিইডির তালিকাভুক্ত গ্রামীণ রাস্তা। রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ায় রাস্তা-সংলগ্ন একাধিক বসতবাড়ি ভাঙনের হুমকির মুখে পড়েছে। বাঁশ ও বেড়া দিয়ে রাস্তাটি ঠিক রাখার চেষ্টা চালালেও শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। 

ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার মজিদপুর কান্দাপাড়া থেকে তিতাস নদীর পাড় ঘেঁষে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) দেড় কিলোমিটারের রাস্তাটি মৌটুপী গিয়ে শেষ হয়েছে। অপরিকল্পিতভাবে নদী খনন করায় নদীরপাড়ের রাস্তাটি ভেঙে পুনরায় নদী ভরাট হচ্ছে। রাস্তার পাশে থাকা একাধিক বসতবাড়ি হুমকির মুখে পড়েছে। খনন কাজের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা বাঁশ ও বেড়া দিয়ে রাস্তাটি ঠিক রাখার চেষ্টা চালালেও শেষ পর্যন্ত তা ভেঙে যায়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সার্বিক তত্ত্বাবধানে তিতাস নদীর দ্বিতীয় পর্যায়ের খনন কাজ গত জানুয়ারি মাস থেকে চলমান রয়েছে। 

মজিদপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম সরকার জানান, এলাকার লোকজন তাঁকে বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি ওই এলাকায় গিয়ে দেখেছেন। এখন শুধু মজিদপুর থেকে মৌটুপী সড়কটি ভেঙে গেছে। নদীতে আরেকটু পানি কমে গেলে কড়িকান্দি বাজার থেকে মজিদপুরের যে রাস্তাটি রয়েছে সেটিও ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ১৫ ফুট নদী খননের কথা থাকলেও ৩০ থেকে ৪০ ফুট খনন করা হচ্ছে। 

উপজেলা প্রকৌশলী সাহিদুল ইসলাম জানান, রাস্তাটি এলজিইডির তালিকাভুক্ত। বিষয়টি তারা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে (পাউবো) লিখিতভাবে জানাবেন। ভেঙে যাওয়া রাস্তাটি পাউবোকে সংস্কার করে দিতে হবে। গ্রামীণ উন্নয়নের একেকটি রাস্তা চলাচলের উপযুক্ত করতে সরকারকে অনেক অর্থ ব্যয় করতে হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এটিএম মোর্শেদ জানান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি তাঁকে জানিয়েছেন। তিনি পাউবোর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন, যাতে তারা দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. কামাল উদ্দিন খান বলেন, নদীর পানি কমে যাওয়ায় রাস্তাটি ভেঙে পড়েছে। ওই অংশে নদী খননের কাজ বন্ধ রয়েছে। 
প্রকৌশলী জানান, রাস্তাটি সংস্কারে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। তবে তাদের নকশায় যা আছে, সেই অনুযায়ীই খনন করছেন। বেশি খনন করার প্রশ্নই ওঠে না।

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. সেলিম আহমেদ বলেন, বিষয়টি তাঁকে জানিয়েছেন সহকারী কমিশিনার (ভূমি)। তারা ভেঙে যাওয়া রাস্তাটি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি। 

আরও পড়ুন