পরিবারের দাবি হত্যা, পুলিশের ধারণা সড়ক দুর্ঘটনা
মহাসড়কের পাশে ইজিবাইক চালকের মরদেহ

ইজিবাইকচালক তুহিন খান। ছবি-সংগৃহীত
ফরিদপুর অফিস
প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০২৩ | ০৫:০৮
ফরিদপুরে মহাসড়কের পাশ থেকে এক ইজিবাইকচালকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের দাবি, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, গত রোববার সন্ধ্যায় শহরের শোভারামপুরের আরিফ খানের ছেলে ইজিবাইকচালক তুহিন খান বাড়ি থেকে বের হন। অন্যের ইজিবাইকে চড়ে বদরপুর এলাকায় যান তিনি। রাতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের বদরপুর এলজিইডি অফিস এলাকায় আহত অবস্থায় তাঁকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। সেখান থেকে উদ্ধার করে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
তুহিনের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁর স্ত্রী নিপা বেগম বলেন, ইজিবাইক চালানোর সময় হয়তো কারও সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা হয়েছে। সে কারণে তাঁকে হত্যা করেছে। হাসপাতালের লোকজন বলেছে, সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলে বোঝা যেত। তাদের সংসারে তিনটি মেয়ে রয়েছে।
তুহিনকে হাসপাতালে আনা ইজিবাইকচালক সামচু শেখ বলেন, রাত ৩টার দিকে শহরের দিকে আসছিলেন। বদরপুরে দুই ব্যক্তি থামিয়ে বলেন, একজন অসুস্থ হয়ে পড়ে আছেন। তাঁকে হাসপাতালে নিতে হবে। তাড়াতাড়ি তারা তাঁকে ওঠালে তিনি তুহিনকে চিনতে পারেন। দু’জনের মধ্যে একজন পথে নেমে গিয়েছিলেন। অন্যজন হাসপাতালে এসে চলে যান।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সালাউদ্দিন বলেন, রাত ৩টার দিকে তুহিনকে পড়ে থাকতে দেখে দুই ব্যক্তি হাসপাতালে নিয়ে আসেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সড়ক দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এরই মধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। আশপাশের এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।